শুক্রবার সারা দেশে একযোগে জাতীয় সংগীত গাইবে উদীচী
ডেস্ক রিপোর্ট: সারা দেশে আগামীকাল শুক্রবার একযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি দিয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী। সকাল ১০টায় উন্মুক্ত স্থানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণ-আন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতসহ এ দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রাণের সব বিষয় নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে।
গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধিতা করা থেকে শুরু করে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকার ওপর আঘাত হানতে শুরু করেছে।
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির গোলাম আযমের ছেলে আমান বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে, তা করেছিল ভারত।
দুই বাংলাকে একত্র করার জন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।
তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলো উদীচীর কর্মসূচি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদীচী বলেছে, “এই হীন চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের রুখে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় দেশের সর্বত্র একযোগে ‘উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া কর্মসূচি’ হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
ওই দিন উদীচীর সব জেলা ও শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ একসঙ্গে প্রাণের আবেগে গেয়ে উঠবে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় সংগীত। কেন্দ্রীয়ভাবে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীতে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করা হবে ‘উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া কর্মসূচি’।”