শ্যামনগরের গাবুরাতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কমিউনিটি সংলাপ
শ্যামনগর প্রতিনিধি: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফেইথ ইন এ্যাকশন এর আয়োজনে এবং কানাডিয়ান দাতা সংস্থা ওয়ার্ল্ড রিনিউ” সকল নারী ও কন্যার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধ করবে একতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালনের অংশ হিসাবে ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় শ্যামনগরের ডুমুরিয়া গ্রামের মরিওম খাতুনের বাড়ি নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কমিউনিটি সংলাপ এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত কমিউনিটি সংলাপে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এর মহিলা ইউপি সদস্য মোসা.ফরিদা খাতুন, সিআরসি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মিল্টন বাড়ৈ, জেন্ডার অফিসার নওমী বিশ্বাস, কমিউনিটির মোঃ মোত্তজা আলী, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর হৈমী মন্ডল সহ কিশোরী দলের সভাপতি ইশিতা, কিশোর দলের সভাপতি সজীব প্রমূখ।
মোসা ফরিদা খাতুন বলেন, বাল্যবিবাহ দিলে মেয়েরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। এজন্য ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে মেয়ে এবং ছেলেদের হাতে ১৫ থেকে ১৬ বছরের আগে স্মার্টফোন না দিতে অনুরোধ করেন । সভায় তাকে আমন্ত্রণ করার জন্য এবং এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
কিশোরী দলের সভাপতি ইশিতা বলেন, বাল্য বিবাহকে না বলি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ১০৯ হটলাইন নম্বরে ফোন করি। কিশোর দলের সভাপতি সজিব বলেন, নারী ও শিশু সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
হৈমী মন্ডল বলেন, বাল্য বিবাহের হ্রাস এবং কিভাবে নারী সহিংসতা বন্ধ করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
মোঃ মোত্তজা আলী বলেন, আমি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমার পরিবার নারী সহিংসতার ভুক্তভোগী এবং আমি এর কোন সুষ্ঠু বিচার পায়নি। তিনি সকলকে বাল্য বিবাহ না দেওয়ার অনুরোধ জানান।
প্রজেক্ট ম্যানেজার বলেন, পরবর্তী বছর এই গণশুনানীর দায়িত্ব দেবেন কমিউনিটির উপর এক পাশে থাকবে কমিউনিটির শিক্ষিত ব্যক্তি, অন্য পাশে থাকবেন কমিউনিটির মানুষ এবং অপরপাশে সংস্থার মানুষ। বাল্য বিবাহ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের ভুমিকা অনেক। তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা শুরু হয় পরিবার থেকে। তাই পরিবারের সকলে এগিয়ে আসলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

