অনলাইনঅপরাধআইন আদালতসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় তদন্তকারীকে আদালতের রায় দেখানোতে প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম-২

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় দীর্ঘ দুই দশক ধরে আদালতে মামলা চালিয়ে রায় পাওয়ার পরও মালিকানাধীন জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন আনসারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার রাজারবাগান এলাকার সাকার মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসারুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী আনসারুল ইসলাম জানান, রাজারবাগান এলাকায় ১১ শতক জমি নিয়ে মৃত সোবহান কবিরাজের ছেলে ইলিয়াস হোসেন, হাবিবুর রহমান ও মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালে সংশ্লিষ্ট মামলার রায় তার পক্ষে এলেও প্রতিপক্ষরা দখল নিয়ে বিরোধ তৈরি করে।

তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি আদালতের রায় পাওয়া জমিতে ঘর তোলার সময় প্রতিপক্ষরা বাধা দিয়ে এডিএম কোর্টে মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে রোববার বিকেলে সদর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্তকারীর কাছে আদালতের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করার পরই প্রতিপক্ষরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

আনসারুল ইসলাম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর ইলিয়াস, হাবিবুর, মোকলেস, কামরুন্নাহার কনা ও নাজমুন্নাহার খুকুসহ ৬-৭ জন ভাড়াটে লোক তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। তিনি বলেন, হঠাৎ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে তারা বিভিন্নভাবে আঘাত করে। আমার স্ত্রী প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও নির্যাতন করা হয়। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়।

ভুক্তভোগী ফরিদা খাতুন বলেন, এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছিল। এমনকি রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কথাও বলত। আমরা সাধারণ মানুষ তাই ঝামেলা এড়াতে চেয়েছি। কিন্তু আজ যেভাবে আঘাত করেছে, তাতে মনে হয়েছে-ওদের উদ্দেশ্য আরও খারাপ ছিল। আমার স্বামীকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, জমি নিয়ে উত্তেজনা অনেকদিন ধরেই ছিল এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *