তালার লোকালয়ে ৯-১০টি হনুমান, খাবারের লোভ দেখিয়ে মজা নিচ্ছে উৎসুক জনতা
এম এ মান্নান: তালা উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই-তিন দিন যাবত ৯-১০টি কালোমুখো হনুমান ঘুরে বেড়াচ্ছে। খাদ্যের খোঁজে তারা কখনো গাছের ডালে, কখনো বাড়ির ছাদে, আবার কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল ও প্রাচীরে দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন সকাল এবং বিকালেও স্থানীয়রা এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন। উৎসুক জনতা হনুমানগুলোকে কলা, লেবু, পাউরুটি বা বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন। তবে কিছুজন কৌতূহলবশত বা মজা করতে খাদ্যর লোভ দেখিয়ে প্রাণীগুলোকে বিরক্তও করছেন।
স্থানীয়দের মতে, যশোরের কেশবপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৩০০-৪০০ কালোমুখো হনুমানের বড় একটি দল বসবাস করে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত তাদের খাদ্য দেওয়া হলেও, কখনো খাদ্যসংকট দেখা দিলে হনুমানগুলো দলবেঁধে নতুন খাদ্যের সন্ধানে দূরদূরান্তে চলে যায়। অনেক সময় পথ হারিয়ে তারা লোকালয়ে চলে আসে।
মহল্লাপাড়া এলাকার সৈয়দ সাব্বির বলেন,মনে হয় পথ ভুলে এরা লোকালয়ে চলে এসেছে। সকাল থেকে আমাদের বাড়ির আশপাশের গাছে-গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণীগুলোর প্রাণ বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে খাজরা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ির পাঁচিলে ৪-৫টি হনুমান একসঙ্গে বসে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় অনেকেই সেই দিন তাদের খাবার দিয়েছেন।
বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান,গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কালোমুখো হনুমানগুলো। শুনেছি যশোরের কেশবপুর এলাকার সবজি বা ফলের ট্রাকে করে এদিকে চলে এসেছে।
তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মুখপোড়া হনুমান বনের বাইরে বসবাস করা এক ধরনের প্রজাতি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যসংকট, বনভূমি সংকোচন এবং মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে এরা মাঝে মাঝে আবাস ত্যাগ করে লোকালয়ে আসে। কেউ ফিরে যায়, আবার অনেকেই পথ হারিয়ে মারা যায়।”
তিনি আরও সবাইকে অনুরোধ করেন, হানুমানগুলোকে বিরক্ত না করা এবং সম্ভব হলে প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে তাদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হোক।

