অনলাইনকলারোয়াকৃষিসাতক্ষীরা জেলাস্বাস্থ্য

কলারোয়ায় সেভেন স্টার ফিশ ফিড মিলে’র যাত্রা শুরু

এসএম ফারুক হোসেন, কলারোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ‘সেভেন স্টার ফিস ফিড মিল’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। ঘন্টায় ৫০ মেট্রিক টন মাছের খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে এই প্রথমবারের মতো বৃহৎ আকারের এমন ফিড মিল চালু হলো হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতিপুর চৌরাস্তা মোড়ে।

মিলের প্রোপাইটার ইমাদুল হক জানান, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এই কারখানায় হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই উৎপাদিত হচ্ছে উচ্চমানের মাছের খাদ্য। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক মেশিনারিজ, উন্নত প্রযুক্তি এবং আধুনিক প্রসেসিং ইউনিট যুক্ত হওয়ায় মিলটি ঘন্টায় ৫০ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন নারী-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবার।

তিনি আরও জানান, এখানে মাছ ছাড়াও ভবিষ্যতে মুরগি ও গরুর জন্য আলাদা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে মাছের খাদ্য উৎপাদন নিয়েই মিলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মিল পরিচালনাকারী হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “খাবার তৈরির কাঁচামাল প্রথমে ‘র’ মেটারিয়াল হাউজে ঢালা হয়। এরপর সেগুলো বিন হয়ে চেম্বার স্কেলে পৌঁছায়। কোন খাদ্যে কতটা ভুট্টা, সয়ামিল ও অন্যান্য উপাদান থাকবে—তা নির্ধারণ করে চেম্বার স্কেল। তারপর হ্যামার মেশিনে গুঁড়ো করা, মিক্সার মেশিনে মিশ্রণ, প্লেট বুকিং, কুলিং ও শেষে প্যাকেটজাত করার পুরো প্রক্রিয়াই সম্পন্ন হয় সম্পূর্ণ অটোমেশন ব্যবস্থায়।”

তিনি আরও জানান, এই মিলে যে কেউ নিজের কাঁচামাল নিয়ে এসে মাত্র ২ টাকা ৫০ পয়সা খরচে প্রতি কেজি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করিয়ে নিতে পারবেন।

এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় মিল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিল পরিচালনাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, মিলের প্রোপাইটার ইমাদুল হক, ম্যানেজার গোলাম হোসেন, ৯ নং হেলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক আমান, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রসুল, ৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ কবিরুল ইসলাম কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্থানীয়ভাবে বড় পরিসরে এমন ফিড মিল চালু হওয়ায় এলাকাজুড়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি মৎস্যচাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *