পাটকেলঘাটায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান, ৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খলিশখালী এলাকায় জাল টাকা তৈরির একটি কারখানা শনাক্ত করেছে র্যাব-৬। এসময় জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, কম্পিউটার সেটআপ, কালার প্রিন্টারসহ বিপুল পরিমাণ নকল টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইব্রাহিম গাজি (১৯) নামের এক যুবককে, যার কাছে মোট ৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে- যশোর কোতয়ালী মডেল থানার মনিহার সিনেমা হলের পাশের একটি চায়ের দোকানে জাল নোট বিক্রির উদ্দেশ্যে কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে র্যাবের দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
অভিযানে ৯০ হাজার টাকার জাল নোটসহ ইব্রাহিম গাজিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম জিজ্ঞাসাবাদেই সে জানায়, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় তার নিজ বাড়িতে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম এবং আরও বিপুল পরিমাণ জাল নোট রয়েছে। ইব্রাহিমের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা তাকে সঙ্গে নিয়ে রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খলিশখালী ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।
সেখানে জাল টাকা তৈরির একটি কার্যকরী কারখানা পাওয়া যায়। উদ্ধার করা হয়- কম্পিউটার, মনিটর, কালার প্রিন্টার, কাগজ কাটা ও ডিজাইনিংয়ের আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম, জাল টাকা তৈরির বিশেষ কাগজ ও কালি এবং ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট।
র্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত সরঞ্জাম দেখে মনে হচ্ছে ইব্রাহিম দীর্ঘদিন ধরে নকল নোট তৈরি করে আসছিল এবং যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিত। দুই দফা অভিযানে ইব্রাহিমের কাছ থেকে মোট ৪ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ জাল টাকা তৈরির কারখানা ধ্বংস করা সম্ভব হয়।
র্যাব-৬ এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ইব্রাহিম গাজির বিরুদ্ধে জাল নোট তৈরির অভিযোগে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহের সাথে জড়িত পুরো চক্রকে শনাক্ত করতে আরও তদন্ত চলছে।

