সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে ৬১ বোতল মদসহ প্রায় ১১ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬১ বোতল ভারতীয় পাঞ্চ মদসহ প্রায় ১০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ২০২৫) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)-এর অধীনস্থ আটটি বিওপির টহল দল সারাদিনব্যাপী এসব অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও পূর্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মশাখরা, ভোমরা, ঘোনা, কুশখালী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও সুলতানপুর বিওপির সদস্যরা পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভারতীয় মদ, ঔষধসহ বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করা হয়।
পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১/২৩ এস এর ৮ আরবি সংলগ্ন এলাকা থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ জব্দ করে।
ভোমরা বিওপির টহল দল শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার আরও একটি চালান আটক করে।
ঘোনা বিওপির টহল দল দাঁতভাঙ্গা মাঠ এলাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করে।
কুশখালী বিওপির সদস্যরা হাজীর ঘের ও বরই বাগান এলাকা থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ জব্দ করে।
তলুইগাছা বিওপির টহল দল গয়েরডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯ হাজার টাকার ভারতীয় ২৬ বোতল পাঞ্চ মদ সহ বিভিন্ন মালামাল আটক করে।
এদিকে কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল গেড়াখালী ও কেড়াগাছি এলাকায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকার ভারতীয় ঔষধ ও ৩৫ বোতল মদ উদ্ধার করে, যা এদিনের সর্ববৃহৎ চালান।
মাদরা বিওপি রাজপুর ও ভাদীয়ালী এলাকা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার ভারতীয় ঔষধ এবং সুলতানপুর বিওপি আম বাগান এলাকা থেকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকার ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
ভারতীয় পাঞ্চ মদ – ৬১ বোতল, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ঔষধ – বিপুল পরিমাণ, সর্বমোট মূল্য – ১০,৮৯,০০০ টাকা।
বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান রোধে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, চোরাকারবারীরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল। এ ধরনের চোরাচালান দেশের অর্থনীতি, শিল্প উৎপাদন ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিজিবি ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান আরও জোরদার করবে।
জব্দকৃত মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস-এ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান বিজিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা বিজিবির অভিযানের এ সফলতাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও চোরাচালান দমন অভিযানে আরও শক্তিশালী ভূমিকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

