অনলাইনঅপরাধইতিহাস ঐতিহ্যতালারাজনীতিসদরসাতক্ষীরা জেলাসারাবাংলা

সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ পরিবার ও সম্মুখযোদ্ধাদের বাদ দিয়েই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ- আহত পরিবারের সদস্য ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের ছাড়াই স্মৃতি স্তম্ভের উদ্বোধন করায় জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার বিতর্কিত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিঞ্চুপদ পাল, জেলা জামায়াত আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে এ স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন করেন।

তবে এর স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনকালে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সম্মুখসারির যোদ্ধাদের কেউ উপস্থিত না থাকায় শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকে বলছেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কিংবা কোন প্রস্তুতি সভাও করা হয়নি। মোটকথা জুলাই আন্দোলনের সাথে জড়িতরা কেউ জানতেই পারেনি যে এ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হবে।

শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বাস্তবে তাদের পরিবার বা আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধাদেরই যদি উদ্বোধনের সময় সেখানে না ডাকা হয়, তবে এই আয়োজন কতটা পূর্ণতা পেল? এখন এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।

জুলাই শহীদ- আহত পরিবারের সদস্য ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের ব্যতিরেকে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করায় অফলাইন- অনলাইনেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আহবায়ক আরাফাত হোসাইন বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একা নয় জুলাই’২৪ এর সাথে থাকা সকল ছাত্র রাজনৈতিক দলের উপস্থিত থাকা গুরুত্বপুর্ন বলে মনে করি।

আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিনা এ বিষয়ে মি. হোসাইন বলেন- যেহেতু কেবল আমাদের কে বলা হয়েছে এজন্য আমরা যাইনি। কারণ এই জুলাই স্তম্ভ সবার।

তিনি আরো বলেন – এখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ডাকা হয়েছে কিন্তু ছাত্র সংগঠনগুলোকে ইনভাইটেশন দেয়াটা দরকার ছিল। এই জুলাই অভ্যুত্থানে মূল স্টেক ছিল ছাত্রদের।

সাতক্ষীরায় জুলাই আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ইমরান হোসেন বলেন- যাদের জন্য এই স্তম্ভ তাদের ব্যতিরেকে রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে উদ্বোধন করানোকে আমলাতান্ত্রিক ও অভ্যন্তরীন পরাধীনতাকে বুঝি। এখানে প্রকৃত অংশীদারকে মাইনাস করা হয়েছে এবং যা ইতিহাস বিকৃতির সামিল। এ ঘটনায় আমিসহ সাতক্ষীরার জুলাই বিপ্লবের সকল সহযোদ্ধা মর্মাহত। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জুলাই যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হলে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল বলেন- আমি এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। এখন ব্যস্ত আছি পরে জানাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *