আইন আদালতকলারোয়াজাতীয়তালারাজনীতিশিক্ষাঙ্গনসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি রায়ের অব্যাহতি দিয়ে বেকসুর খালাস প্রদান করায় আনন্দ মিছিল করেছে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস. কে. এম. আবু রায়হানের নেতৃত্বে এ আনন্দ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্লোগান সহকারে প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঝাউডাঙ্গা কলেজ, শহীদ স্মৃতি কলেজ, ডে-নাইট কলেজ, সাতক্ষীরা পৌর ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুহিন, রাজা, অর্থ সম্পাদক আমির, সদস্য সাইদুর রহমান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. শাহজুদ্দিন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হেদায়েত কবির হৃদয়, পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তুহিন রিয়াদ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজমাউল হোসেন, শহর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইভান, ঝাউডাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সিয়াম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন প্রমুখ।

এছাড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নেতা ও বাঁশদাহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মসুম, নগরঘাটা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ, আব্দুল্লাহ, সোহান, অর্ক, সিয়াম, মুজিবুল হক ছোট, ওহেদ আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার বেকসুর খালাস প্রমাণ করেছে, সত্যের জয় অনিবার্য। তারা আরও বলেন, ছাত্রদল সর্বদা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে এবং নেতার মুক্তির এই রায় আমাদের আন্দোলনে নতুন প্রেরণা যোগাবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করা হয়। ৫০ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেয় উচ্চ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *