তালায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, তালা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কোথাও জমিতে বীজ বপণ চলছে, আবার কোথাও সবজি গাছে পরিচর্যা ও আগাছা দমনসহ মাঠের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। আগাম সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
উপজেলা জুড়ে শীতকালীন সবজি চাষে দেখা দিয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হলে তারা আরও বেশি লাভবান হতে পারবেন।
তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির শীতকালীন সবজি এবং ১৬৫ হেক্টর জমিতে কপি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার খলিলনগর, তালা সদর,মাগুরা ও ইসলামকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকরা মুলা, বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, পটল, শিম, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, গাজর, লালশাক, পুইশাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন। এ বছর সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।
খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের কৃষক মোরশীদ জোয়ার্দার বলেন, সবজি চাষের ফলে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। দুই বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। দাম ভালো থাকলে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো লাভ হবে বলে আশা করছি।
একই এলাকার কৃষক গফুর মোড়ল বলেন, আমি ২৫ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ২২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আরও কিছুদিন পর সবজি তোলা শুরু করব। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো লাভবান হতে পারব।
কৃষকদের আগ্রহ বাড়ার কারণ হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, এ বছর আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বেড়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সবজির আবাদ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগাম শীতকালীন সবজিতে সাধারণত পোকামাকড় ও ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। তাই মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়।

