শরীয়তপুরে অস্ত্রসহ গ্রে’প্তা’র ৬ আ’লীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় ওসি
ডেস্ক রিপোর্ট: শরীয়াতপুর সদর পালং মডেল থানা আওয়ামীলীগের আশ্রয়স্থল হিসেবে খ্যাত। তার উপরে থানার ওসি হেলাল উদ্দিন আওয়ামীলীগের রক্ষক হিসাবে টরিচিত। এরমধ্যে তিনি আবার আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের ধরে এনে আবার ছেড়েও দেন । সাংবাদিকদের হাতে পালং মডেল থানায় বিষয়ে এমনি কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে ।
তথ্যসূত্রে জানা যায় গতকাল দিবাগত রাত ৩ টায় নেয়ামতপুর গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের জহিরুল, সুমন, সবুজ ,মান্নান ভুইয়া, ইমরান ভুইয়াসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এরা সবাই আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হাওলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী। কিন্তু অদৃশ্য কারনে অস্ত্রসহ আটক আওয়ামীলীগ উক্ত ৬ সন্ত্রাসীকে আদালতে না পাঠিয়ে সম্মানের সাথে তাদের ছেড়ে দেয় থানার অফিসার ইনর্চাজ হেলাল উদ্দিন।
স্থানীয় জনগণ এবিষয়ে থানার ওসির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে- আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর যাদের কাছে জিম্মি ছিলাম সেই তারা আজ অস্ত্রসহ আটক হলেও ওসি তাদের ছেড়ে দিয়ে এলাকার নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মানুষ মনে করেন এর জন্য থানার অফিসার নিয়েছেন একাধীক টাকা।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ধরে ছেড়ে দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। যাদেরকে ধরা হয়েছিল তারা পারিবারিক জমি নিয়ে মারামারি প্রস্তুতিকালে তাদেরকে থানা পুলিশ ধরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সদর উপজেলা সভাপতি সিরাজ মোল্লা এবং সাবেক শরীয়তপুর জেলা যুবদলের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক মোল্লা এরা দুইজন স্বাক্ষর করে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে ওসি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ নেতাকে বাঁচাতে বিএনপি এবং ওসি একত্র হয়ে কাজ করছে। সিরাজ মোল্লা এবং আতিক মোল্লা বিএনপির পদকে ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন এবং স্থানীয়রা শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের দাবী জেলায় এমন কাজ করতে থাকলে বিএনপি ও পুলিশের প্রতি মানুষ বিশ্বাস ও আস্তা হারাবে।

