অনলাইনঅপরাধআইন আদালতআন্তর্জাতিককয়রাখুলনাডুমুরিয়াসাতক্ষীরা জেলাসারাবাংলা

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

গাজী হাবিব: আবারও ভারতে আটক হওয়া নারী ও শিশুসহ ১৫ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তে অনুষ্ঠিত এক পাতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে ভারতের হাকিমপুর চেকপোস্ট অতিক্রমের সময় বিএসএফ তাদের আটক করে।

ভারতের বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমার এবং বাংলাদেশের তলুইগাছা বিজিবি বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তলুইগাছা সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় পুলিশে সোপার্দ করা হয়।

বিএসএফ কর্তৃক হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশীরা হলেন, খুলনা জেলার কয়রা থানার ২ নং কয়রা গ্রামের রেজাউল গাজীর স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৪৭), তাদের ছেলে মিলন গাজী (১৯), একই থানার মাদারবাড়িয়া গ্রামের মালেক সরদারের ছেলে জাফারুল ইসলাম (৩৮), জাফারুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (২৮), তাদের ছেলে জামশেদ আলী (১২) ও মেয়ে জীম সুলতানা (৩), ৪ নং কয়রা গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে এলেম সরদার (৪৯), এলেম সরদারের স্ত্রী আকলিমা (৪৪), তাদের মেয়ে আছিয়া খাতুন (১১), মহারাজপুর গ্রামের মৃত মোঃ জিয়াদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ আহসান হাবিব খোকন (৪২), আহসান হাবিব খোকনের স্ত্রী মোছাঃ রওশন আরা বেগম (৩৮) ও তাদের ছেলে সোহান গাজী (৫)। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জয়খালী গ্রামের সেলিম মোড়লের ছেলে সবুজ মোড়ল (১২), সবুজ মোড়লের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২২) ও সবুজ মোড়লের মেয়ে রাজিয়া খাতুন (৭)।

ভারত থেকে ফিরে আসা ফজিলা খাতুন বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাই। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় থেকে দিনমজুরের কাজ করতাম। সম্প্রতি সে দেশর পুলিশ সেখানে অবৈধভাবে বসবাসকারি বাংলাদেশীদের আটক করতে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করে। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রাতে ভারতের হাকিমপুর বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে আত্মসর্মপন করি।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *