অনলাইনজীবনযাপনসদরসাতক্ষীরা জেলাসাহিত্য

সাতক্ষীরায় তরুণদের জন্য হিউম্যান লাইব্রেরি বিষয়ক আলোচনা সভা

সাতক্ষীরা ইয়ুথ হাবে তরুণদের জন্য হিউম্যান লাইব্রেরি (মানব গ্রন্থাগার) বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা ইয়ুথ হাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো সাতক্ষীরা-এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় “এফরটি” প্রকল্পের আওতায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। তিনি হিউম্যান লাইব্রেরির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। এসময় মানব গ্রন্থাগারের “বই” হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট আইনজীবী সাতক্ষীরা জজকোর্টের শেখ আজাদ হোসেন (বেলাল)। তিনি নিজের জীবনের সাফল্যের গল্প শেয়ার করেন এবং তরুণদের অনুপ্রাণিত করেন। তরুণ অংশগ্রহণকারীরাও নানা প্রশ্ন করেন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ পান।

আজকের বিশ্বে দ্রুত বিকশিত সমাজে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহানুভূতির গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। বিশেষত বাংলাদেশের তরুণরা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভ্রান্ত ধারণা, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং শিক্ষাগত বৈষম্যসহ নানা সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। হিউম্যান লাইব্রেরি এই সমস্যাগুলির সমাধানে একটি অনন্য ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যক্তিগত মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সংলাপ, বোঝাপড়া ও সহানুভূতি জাগ্রত হয়।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন ইয়ুথ গ্রুপ থেকে তরুণ-তরুণীরা অংশগ্রহণ করেন। হিউম্যান লাইব্রেরি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইন্টারেক্টিভ স্পেস তৈরি করা, যেখানে তরুণরা স্টেরিওটাইপ, কুসংস্কার এবং ভুল বোঝাবুঝিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পাবে।

বর্ধিত সচেতনতা ও সহানুভূতি: অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন পটভূমির মানুষের জীবন ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জন করবে। উন্নত যোগাযোগ দক্ষতা: মানব বই ও অংশগ্রহণকারীরা অর্থবহ কথোপকথনের মাধ্যমে আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। তরুণরা বৈষম্য ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রাণিত হবে।

এ প্রকল্পটি তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। খোলামেলা ও সৎ সংলাপের মাধ্যমে এটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুরেলা সমাজ গঠনে অবদান রাখবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান তহিদ, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইনান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *