অনলাইনইতিহাস ঐতিহ্যখেলাধূলাবিনোদনসদরসাতক্ষীরা জেলাসারাবাংলা

সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা আয়োজনের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় চার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা আয়োজনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা নিউমার্কেটের সামনে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয় নাগরিকদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন মন্ত্রী ডা. আফতাবুজ্জামান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান রাসেল, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলি নুর খান বাবুল, উদীচী জেলা শাখার সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ডেকোরেটর মালিক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান কামু, সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, হোটেল রেস্তোরাঁ ও বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতা জিল্লুর রহমান, বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির মাসুম বিল্লাহ মিল্টনসহ অনেকে।

এছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি জানান সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম ফারুক, দেশবরেন্য কণ্ঠশিল্পী আবু আফফান রোজবাবু, স্বদেশ এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক সোসাইটির সভাপতি তৌফিকুজ্জামান লিটু, নারী উদ্যোক্তা তামান্না তাসনিম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, ভাজা ও ফুচকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও মুনসুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য লালন করে আসছে গুড়পুকুরের মেলার মাধ্যমে। এ মেলা শুধু বিনোদনের জায়গা নয়; নার্সারি, ডেকোরেটর, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, চটপটি-ফুচকা ও ভাজা মালিকসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রধান আয়ের উৎস। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে মেলাটি বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।

তারা প্রশ্ন তোলেন—দেশের সর্বত্র বইমেলা, বাণিজ্যমেলা ও বিভিন্ন উৎসবমুখর আয়োজন নির্বিঘ্নে হলেও কেবল সাতক্ষীরাতেই কেন আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে এ মেলা বন্ধ রাখা হলো? বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেলা আয়োজনের ঘোষণা না আসলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে এবং জনগণ নিজেরাই মেলা বসাতে বাধ্য হবে।

মানববন্ধন শেষে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, শিগগিরই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এদিনের পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান রাসেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *