অনলাইনজাতীয়সদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি চায়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক জেলা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার জেলা সদরের লেকভিউ মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী, জামায়াতের আমীর শহীদুল ইসলাম, সমাজতন্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সংগঠক অ্যাড: আজাদ হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, গণফোরমের সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি আলীনূর খান, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্য সহকারী অধ্যাপক ভারতেশ^রী বিশ্বাস, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সহসভাপতি অধ্যক্ষ পবিত্রমোহন দাশ, এডাব এর জেলা সভাপতি মাধব চন্দ্র দত্ত, ডিবিসির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম. বেলাল হোসাইন, প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি,জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরার ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশে^রুল হক, সাতক্ষীরা পাবরিক লাইব্রেরির কামরুজ্জামান রাসেল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপালীর নির্বাহী শফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর জোষ্ঠ্য প্রতিবেদক নাজনীন আখতার। সংলাপে শুরুতে নাগরিক সমাজ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি ও সংস্থাগুলোর দেওয়া জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন সিএসও প্রতিনিধি ইমদাদুল হক। সংলাপে প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরীর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একশনএইড বাংলাদেশের উইমেন রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার ইকুইটি বিভাগের প্রধান মরিয়ম নেছা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায়, ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস প্রকল্প ও একশনএইডের নেতৃত্বে বেসরকারি সংস্থা ভূমিজ ফাউন্ডেশন এ সংলাপের আয়োজন করে। এ আয়োজনে প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ সুন্দরবন সুরক্ষার বদ্ধপরিকর। সুন্দরবন না থাকলে উপকুলীয় এলাকায় মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য সবার আগে সুন্দরবন রক্ষায় যুগোপযোগী আইন করতে হবে, সুন্দরবন ও উপকুলীয় এলাকার উন্নয়নের জন্য ‘সুন্দরবন উন্নয়ন’ নামে পৃথক মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি চায় আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে পেশীশক্তি, কালো টাকার ব্যবহার ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, সামাজে যার স্বচ্ছ ভাবমূতি রয়েছে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়াও দাবি জানিয়ছেন তাঁরা। এছাড়া বর্তমান ৩০০ আসনের সাথে অতিরিক্ত আসন ১০০ আসন যুক্ত করার পাশাপাশি সেই ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *