জাতীয়রাজনীতিলিডসারাবাংলা

কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে’

ডেস্ক রিপোর্ট: কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে- সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সচেতেন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতেন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে আমাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে- এই ব্যাপারে প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ধানের শীষের যত নেতাকর্মী আছে, যারা আজও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আমাদের সামনে একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। আমাদের যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, কর্মসংস্থানের অধিকার, নারী অধিকার, শিক্ষা-চিকিৎসার অধিকার এবং কৃষক ও শ্রমিকের নিশ্চিত করতে হলে জনগণের রায়ের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অদৃশ অপশক্তি মাথা তুলছে মাঝে মাঝে। তা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। কিন্তু আমরা উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করি। শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আদর্শ লালন করি। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইস্পাতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, জনগণের কাছে যেতে পারি তাহলেই নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে সফল জনরায় আনতে পারব।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের দুটি বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করতে বলেন তারেক রহমান। একটি হলো দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আরেকটি হলো দলের নামে কেউ যেন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে, দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে না পারে।

তখন তার দুটি প্রতিজ্ঞার প্রতি উপস্থিত নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে সমর্থন জানান।

সকালে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর এ সম্মেলন শুরু হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোট দেবেন দুই হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।

সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *