অনলাইনঅপরাধআইন আদালতজীবনযাপনশিক্ষাঙ্গনসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গাঢ আনসার দলনেত্রী নাসিমা’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় আনসার দলনেত্রী নাসিমা খাতুনের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসানের মেয়ে মিতু স্থানীয় ঝাউডাঙ্গা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অল্প বয়সে তার বিয়ের আয়োজন করা হলে মিতু নিজেই সাহসী পদক্ষেপ নেন। তিনি জানান, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান এবং বাল্যবিবাহে রাজি নন। বিষয়টি ফোনে জানানো হলে ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আনসার দলনেত্রী নাসিমা খাতুন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি অবহিত করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের আনসার দলনেতা খায়রুজ্জামান, আনসার সদস্য ফরিদা খাতুন, মরিয়ম খাতুন, ইসমত আরা ও সেলিনা খাতুন।

বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে মেয়েদের ১৮ বছরের আগে এবং ছেলেদের ২১ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবুও গ্রামীণ সমাজে নানা কারণে এখনও বাল্যবিবাহের প্রবণতা দেখা যায়। এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার ওপর বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে নাসিমা খাতুন বলেন, “শিক্ষা ছাড়া কোনো মেয়ের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। বাল্যবিবাহ মেয়েদের জীবনকে অন্ধকার করে দেয়। তাই অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া।”

স্থানীয়রা জানান, মিতুর সাহসী ভূমিকা এবং আনসার দলনেত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে একটি অকাল বিয়ে রোধ সম্ভব হয়েছে। তারা বলেন, এরকম উদ্যোগ গ্রামে-গঞ্জে আরও ছড়িয়ে পড়লে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে কমে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *