আশাশুনিকলারোয়াকালিগঞ্জজাতীয়তালাদেবহাটাপাটকেলঘাটালিডশ্যামনগরসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় ২ নারীসহ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৮ জন চুড়ান্ত

গাজী হাবিব: বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে সাতক্ষীরা জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়েছেন ২৮জন যোগ্য প্রার্থী। এদের মধ্যে ২ জন নারীও আছেন এবং অপেক্ষমান আছে আরো ৬ জন প্রার্থী।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুল ইসলাম মুনীর।

সেবার ব্রতে চাকরি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মুনীর বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমরা নিয়োগের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এখানে যারা চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা সকলেই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই স্থান পেয়েছেন। একই সাথে তিনি অকৃতকার্য প্রার্থীদের ভবিষ্যতে আবারও প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় চেষ্টা করার আহবান জানান তিনি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন- বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন। এজন্য সবার উচিত সততা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা।

দু’জন নারীসহ নিয়োগ পাওয়া ২৮ জনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে অধিকাংশ প্রার্থী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নারী দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ী তালার নগরঘাটা এলাকায় এবং অপরজনের বাড়ী কালিগঞ্জের রতনপুর এলাকায়। নগরঘাটার সাবিকুন্নাহার লিজার পিতা নেই। মামার সংসারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। তিনি বলেন- পুলিশে চাকরী পেয়ে আমি অনেক খুশি। এবার আমি আমার মায়ের স্বপ্ন্ পুরণ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ফলাফল ঘোষণাকালে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, প্রার্থীবৃন্দ ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, এ নিয়োগ কার্যক্রমে অংশ নিতে ১ হাজার ৯০০জন প্রার্থী আবেদন করেন, অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৪০০জন। প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন ৩৩৫জন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৮জন, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৬ জন, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৮জন এবং অপেক্ষমান রয়েছেন ৬ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *