তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
বিশেষ প্রতিনিধি, তালা: তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনিয়ম, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ৪৫.৪০,০০০০.০০২.২৭.০০১.২৫ নং স্বারকে যশোর সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুদ রানা কে সভাপতি ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নাজমুস সাদিক, মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফাইয়াজ আহমদ ফয়সল কে সদস্য করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) সকালে অফিস সহকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অফিস সুত্রে জানা যায়,স্বাস্থ্য সহকারী ৩৪ জন ডাক্তারের স্থলে আছে ১৩ জন তালা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদার কর্মজীবনের শুরুতে তালা হাসপাতালে তারিখে ৭-৮-২০১৪ যোগাদান করেন। ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতার সন্তান হওয়ার সুবাদে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে গড়ে ওঠে গভীর সখ্যতা। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ১৯-৮-২০১৯ প্রমশন নিয়ে রাতারাতি তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তা বনে যান তিনি।
অফিসে মদ্যপ অবস্থায় থাকলেও দলীয় প্রভাবের কারণে কেহই প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। প্রতি জুন মাসে ডাক্তার রাজিব ভূয়া বিল ভাউচারে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। মাষ্টাররোলে চাকুরী দিয়ে তাদেরকে কাজে না লাগিয়ে ভূয়া স্বাক্ষরে বেতন উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন।
সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবল হোসেন তালা হাসপাতালে রোগীদের সুবিধার জন্য ২ ওয়ার্ডে ১২ টি এসি লাগিয়ে দেন। কিছুদিন পূর্বে ১০ এসির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। অথচ এ বিষয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তিনি এখনো আইনি পদক্ষেপ নেননি। যদি জড়িত না থাকবে তাহলে তদন্ত বা কোনো মামলা হলো না কেন? শুধু তাই নয়, হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের পুরাতন বিল্ডিং এর জানালার গ্রিল, লোহার গেইট চুরি হয়ে গেছে অথচ ডাঃ রাজিব জেনেও না জানার ভান করছেন । তাকে হাসপাতাল থেকে না সরালে জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তালা প্রসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ডাঃ রাজিব সরদার আপাদমস্তক দূর্ণীতিগ্রস্থ। যার কারণে অব্যবস্থাপনা নৈরাজ্যের জেঁকে বসেছে। হাসপাতাল চালানোর অভিজ্ঞতা তার নেই।