দেশ আমাদের, এদেশকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে- মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক
স্টাফ রিপোর্টার: ‘বন্ধুগণ এই দেশকে আমাদের সাজাতে হবে, দেশকে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে হবে, সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে।মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন ভাবে তৈরি করেছেন, তাদের ব্যক্তিত্ব দিয়েছেন,তাদের মর্যাদা দিয়েছেন, স্নেহ দিয়েছেন, মায়া মমতা দিয়েছেন, তাদের চিন্তাভাবনার সঠিক ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই মায়া মমতার বন্ধনে জড়াজড়ি করে একে অপরে মিলে মিশে দেশটাকে গড়বো। এ দেশ গণতান্ত্রিক দেশ, এ দেশে বিভিন্ন দল থাকবে,তাই বলে কি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মত দেশবরেন্য আলেম বিরোধী দলের কর্মী হওয়ায় ফাঁসি দিতে হবে? সোনার বাংলা গড়ার আগে সোনার মানুষ গড়া প্রয়োজন,আমরা সোনার মানুষ গড়তে চাই।’ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাতক্ষীরা সদর -০২ আসনের দাঁড়িপাল্লার মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ টি বছর ধরে অশান্তিতে ছিলাম। আমাদের আপনজন মারা গেছেন তাদের জানাজায় উপস্থিত হতে পারিনি, ভাইয়ের জানাজায় আসতে পারেননি। আমি ১১৮ টি ব্যক্তির জানাজায় উপস্থিত হতে পারিনি যারা আমাকে ওসিয়াত করে গিয়েছিলেন হুজুর আপনি আমাদের জানাজা পড়াবেন। জানাযা কেন তাদের লাশটা পর্যন্ত দেখার সুযোগ হয়নি। এমনকি আপনজনদের কাফন খুলে মুখ দেখার সুযোগ পর্যন্ত হয়নি। এটা কোন মানুষের সমাজ ছিল না। এটা ছিল বন্য পশুর সমাজ বললে সেটাও হার মানবে। একটি পশু আহত হলে তার পাশে আরেকটি পশু দাঁড়াতে পারে, কিন্তু আমরা সেই পরিবেশ টুকু ও পাইনি। তারা আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে, খুন করেছে, গুম করেছে, ফাঁসি দিয়েছে।তারা আমাদের সম্প্রতি ২০০০ জনকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার যুবকদেরকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। তাদের কারো চোখ নাই, হাত নাই, পা নাই, এই অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এটাও ছিল আই এম এ জাহিলিয়াত যুগ,অন্ধকার যুগ অমাবস্যার যুগ । আমরা আওয়ামী লীগ হই, বিএনপি হই, জামায়াত হই, যে দলেরই লোক হই এই ধরনের সমাজ কেউ কোনদিন কামনা করতে পারে না। আমরা এটা কখনোই চাইনি।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই অন্ধকার কে দূর করে দিয়ে নতুন প্রভাত নতুন সূর্য আমাদের মাথার উপরে নিয়ে এসেছেন। অতএব এই সোনার বাংলাদেশ আমাদের সবার। আমরা দেশকে ভালবাসি, দেশকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকালে ব্রহ্মরাজপুর বাজার নবী সানার মার্কেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের আমির মাওলানা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন টিম সদস্য মাওলানা মনিরুল ইসলাম ফারুকীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক এবং আগামী দিনের সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলার আমীর উপধাক্ষ্য শহিদুল ইসলাম মুকুল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলার কর্ম পরিষদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল ওয়ারেছ, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও ঘোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক সহিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সবুর, সদর উপজেলা মিডিয়া পরিচালক ও সদর উপজেলার কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আনিছুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল ইসলাম বিলালী, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী ও হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার উপধাক্ষ্য মাওলানা ওসমান গনি, ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম, ধুলিহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাস্টার আশরাফুজ্জামান খোকন, ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম, যুব বিভাগের সেক্রেটারী ডাঃ আবু তাহের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা শাহিনুজ্জামান, ব্রহ্মরাজপুর বাজার ইউনিটের পেশাজীবি পরিষদের সিনিয়র সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্স এর সত্বাধিকারী মোখলেছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ও শামীম টেইলার্স এর সত্বাধিকারী শামীম আহমেদ লাভলু,ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুহিবুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা সুরা নিসার আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন,হে মুসলিম সমাজ আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা আপনাদের আদেশ দিচ্ছেন সব রকমের আমানত,আমানতদার লোকদের হাত তুলে দাও।আর যখন লোকদের মধ্যে ফয়সালা করবে তখন ইনসাফের সাথে করবে।আল্লাহ আপনাদের অত্যান্ত ভালো উপদেশ দিচ্ছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা সবকিছু শোনেন এবং দেখেন।সুতরাং আগামী দিনে আপনাদের আমানত ভোট যিনি আপনাদের আমানত রক্ষা করতে পারবেন তাকেই আপনারা ভোট দিবেন।