সাতক্ষীরার বাবুলিয়ায় বিক্রিত সম্পত্তির সামনের খাস জমির ইজারা নিতে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার বাবুলিয়ায় বিক্রিত সম্পত্তির সামনের খাস জমির ইজারা পাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তকিম মোল্ল্যার পুত্র মো: হোসেন আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিগত ১৮/০৬/২০১৪তারিখে বাবুলিয়া মৌজায় জে এল নং -৪৭ , ৮০৮ দাগে ১ শতক ও ৮১৩ দাগে ৪শতক সম্পত্তি ৪৮০০ নং কোবলা দলিল মূলে দাতা ইসমাইল হোসেনের নিকট থেকে ক্রয় করি। এরপর শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি। এছাড়া আমার সম্পত্তির সামনে জে এল নং-৪৭, ডিপি-২, ৮১২ দাগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সরকারি খাস ৪শতক সম্পত্তি রয়েছে। যেটা ইতোপূর্বে দুইবার আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে ডিসিআর নিয়ে ভোগদখল করে আসছিলাম। সেখানে একটি ঘরও নির্মান করা আছে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় একজন প্রভাবশালীর ইন্ধনে বাবুলিয়া গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন ভারতীর পুত্র তপন কুমার ভারতী সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন উক্ত সম্পত্তি তাদের পৈত্রিক। প্রকৃতসত্য হচ্ছে উক্ত সম্পত্তির এখন তারা নেউ নন। তাদের পূর্বপুরুষগণ উক্ত সম্পত্তি ইসমাইল হোসেনের কাছে বিক্রয় করেন। উক্ত সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে মালিক আমি এবং আমার নামে সর্বশেষ খাজনা দাখিলাও পরিশোধ আছে। পরবর্তীতে ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে আমি ক্রয় করেছি। সম্পত্তি বিক্রি করে তারা বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন। তপন ভারতীয় বর্তমানে কুমারপাড়ায় জমি কিনে বাড়ি করেছে এছাড়া মনিন্দ্র ভারতী। সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করে। সেখানে তাদের জমি থাকলে তারা সেখানে বসবাস না করে অন্যত্র বসবাস কেন করে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেছেন সেখানে নাকি দোকানপাঠ রয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা সেখানে একমাত্র আমার একটি ঘর রয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে আমার সম্পত্তির সামনে খাস সম্পত্তি ডিসিআর নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। অন্যদিকে তাদের উচ্ছেদের যে বিষয়টি বলা হয়েছে সেটিও মিথ্যা ভিত্তিহীন। সেখানে তারা থাকেই না, তাহলে উচ্ছেদের প্রশ্ন কিভাবে আসবে। আমি ছোট খাটো ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমি বর্তমান বছরের ডিসিআর পাওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেছি। তারা ওই আবেদনটি বাতিল করার পায়তারাও চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি উক্ত তপন গংয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।