অনলাইনঅপরাধআইন আদালতসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় আদালত অবমাননা করে পৈত্রিক সম্পত্তিসহ পার্শ্ববর্তী সরকারি সম্পত্তি দখল চেস্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার বাবুলিয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তিসহ তার সামনের সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

লিখিত বক্তব্যে বাবুলিয়া গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন ভারতীর পুত্র তপন কুমার ভারতী।

তিনি বলেন, বাবুলিয়া মৌজায় জে এল নং-৭, এস এ খতিয়ান ৬৬১, বি এস খতিয়ান ১৩৪২ এস এ দাগ ১৬৭ বি এস দাগ ৮১২ দাগের ৪শতক সম্পত্তির পৈত্রিক সূত্রে মালিক তপন কুমার ভারতী। ওই সম্পত্তির সামনে ৮১৩ দাগে ৪ শতক সম্পত্তির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। সামনের মালিক হিসেবে উক্ত সম্পত্তির ডি সি আর পাওয়ার দাবিদার তপন ভারতী ও তার কাকা মনীন্দ্র ভারতী। সেখানে তপন ও মনীন্দ্রের দোকানপাট ও ছিলো। কিন্তু বিগত সময়ে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় হোসেন আলী নামের একজন ব্যক্তি জবর দখল করে আসছিলেন। সেখানে থাকা তপনের দোকানঘর ভাংচুরও করেছিল ওই হোসেন আলী গং। সম্প্রতি আবারো কৌশলে ওই সম্পত্তি ডিসিআর নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন হোসেন আলী। অথচ ওই সম্পত্তির সামনে হোসেন আলীর কোন জমি নাই। এছাড়া ওই সরকারি সম্পত্তির উপর দিয়ে দীর্ঘদিনের পুরাতন একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে স্কুল-কলেজসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে এবং একটি সুপেয় পানির টিউবওয়েল ও রয়েছে। যেটা অনেকের খাবার পানি চাহিদা মেটায়। ওই রাস্তা এবং টিউবওয়েলসহ নাকি ডিসিআর নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন হোসেন আলী।

ভুক্তভোগী তপন ভারতী অভিযোগ করে বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা টুকুর ডিসিআর নিতে পারলেই আমাদের স্বপরিবারে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন হোসেন আলী। আমরা অসহায় নিরিহ পরিবার ভ্যান-সাইকেল মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করি। এছাড়া আমার কাকা মনীন্দ্র ভারতীর একটি প্রতিবন্ধী সন্তানও রয়েছে। ওই সম্পত্তিতেই ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিচালনা করে তাদের সংসার চলে। এখন সেটুকু দখল হলেও পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।

নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তির রক্ষা এবং যাতে ওই সম্পত্তি টুকুর ডিসিআর পেতে পারে সে বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এসময় কাকা মনিন্দ্র ভারতীয়সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *