জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: আশাশুনিতে জামায়াতের মিছিল ও সমাবেশ

আশাশুনি ব্যুরো: ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশাশুনিতে জামায়াতে ইসলামী গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আশাশুনি উপজেলা আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য,বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল,জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সবুর,জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক। উপজেলা সেক্রেটারি মাওঃ আনওয়ারুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওঃ নুরুল আবছার মুর্তাজা,সাবেক উপজেলা আমির ডাক্তার নুরুল আমিন,আদর্শ শিক্ষক পরিষদ নেতা প্রভাষক দীপ্র কুমার মন্ডল প্রমুখ। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ সেক্রেটারী ডাক্তার রোকনুজ্জামান,মাওঃ আঃ বারী,অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মাওঃ শাহজাহান আলী,বাইতুলমাল সেক্রেটারী মাওঃ শহিদুল ইসলাম,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রিয়াছাত আলী,আই বি ডব্লিউ এফ সভাপতি এবিএম আলমগীর পিন্টু,সদর ইউনিয়ন আমির হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন-আজ জাতীয় মুক্তি দিবস, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দুই হাজার শহীদের রক্ত স্নাতো বাংলাদেশেকে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দখল মুক্ত দেশ হিসাবে গড়তে চাই। ৩০ হাজার আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চাই। বক্তারা অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা ও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা আরো বলেন- ষোলটি বছর মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করে এদেশে আয়না ঘর তৈরি করে আইয়ামে জাহিলাতের মত নির্বিচারে প্রতিবাদী ছাত্র জনতার উপরে গুলি করে হত্যা করেছিল। প্রায় দুই হাজারের মত শহীদ এবং অনেককে আহত করে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছিল। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এদেশে আর কোন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ শাসক তৈরি না হয় তার জন্য আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। কেউ যেন বেইমানি না করে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আসুন আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি যেখানে থাকবে না কোন অন্যায়,অবিচার,দুর্নীতি,ফ্যাসিবাদী চরিত্র।