কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসায় গণঅভ্যুত্থান দিবস ও মাদ্রাসায় তাফসির বিভাগের অনুমতি লাভে দোয়ানুষ্ঠান
মেহেদী সোহাগ, কলারোয়া: কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসায় গণ অভ্যুত্থান দিবস পালন এবং কামিল তাফসির বিভাগে পাঠদানের অনুমতি লাভ করায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অবসান ঘটে দীর্ঘ সতেরো বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের। দিনটি এখন জাতীয়ভাবে গণ অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুকের মাঝে ভিষণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি করএই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়ায়ও উদ্যাপিত হয়েছে ‘ছত্রিশ জুলাই গণ অভ্যুত্থান দিবস’।
মঙ্গলবার সকাল দশ টায় কলারোয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে র্যালি, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আহমাদ আলী।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ডক্টর খান মীজানুল ইসলাম সেলিম। প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সভায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দোয়ার অনুরোধ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলাম।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এবং মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান শিক্ষক এবং গর্ভনিং বডির সদস্যরা। অনুষ্ঠানে ছত্রিশ জুলাই শহীদ ছাত্র-ছাত্রীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা আইয়ুব আলী। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক মহিদুর ইসলাম। ছত্রিশ জুলাই শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি ইতিহাস, এক চেতনার নাম। যে চেতনা এখনও প্রেরণা জোগায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর।