অনলাইনঅপরাধআইন আদালততালাসাতক্ষীরা জেলা

তালায় ছেলে হত্যার দায় মা’য়ের উপর চাপানোর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে হত্যার পর বৃদ্ধা চাচীর উপর দায় চাপানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ঘটনা উৎঘটনের দাবি জানিয়েছেন বৃদ্ধার পুত্রবধূ তালার আঠারই গ্রামের নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছা শান্তা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শান্তা খাতুন বলেন, গত ২১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী হাবিবুর রহমান মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরে আমাকে মারপিট করে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি এ সুযোগ গ্রহণ করে একই গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে আমার চাচাতো দেবর ইমরান (২০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করে। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার স্বামী মাটিতে পড়ে আছে, তার শরীরের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার চাচা শ্বশুর শহীদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে বলি সেভাবেই কাজ কর, তা না হলে সবাই বিপদে পড়ে যাবে। এরপর তড়িঘড়ি করে একটি এজাহার লিখে সেখানে আমার স্বাক্ষর দিতে বলে। আমি কোন কিছু না শুনে বুঝেই সেখানে স্বাক্ষর করি। পরে জানতে পারি চাচা শ্বশুর আমার শ্বাশুড়ীকে হত্যার দায় স্বীকার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের ভয়ে তিনি হত্যা দায় নিজের উপর নেন এবং ওই এজাহারে শ্বাশুড়ী তার পুত্রকে হত্যা করেছে মর্মে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

শান্তা খাতুন আরো বলেন, সন্তান যতই খারাপ হোক একজন মা তার সন্তানকে হত্যা করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে ওই চাচা শ্বশুর শহীদুলসহ মাছুরা, জেসমিন গংয়ের সাথে আমাদের জমিজমার বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরেই শহীদুলের ছেলে ইমরান সুযোগ বুঝে আমার স্বামীকে হত্যা করে শ্বাশুড়ীর উপর দায় চাপিয়েছে। ঘটনার পর পরই দেবর ইমরানকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয় চাচা শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। যে কারণে লাশ দাফন না হওয়া পর্যন্ত ইমরান পলাতক ছিলো। এতেই বোঝা যায় আমার স্বামীর হত্যার সাথে ইমরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী না থাকলে চাচা শ্বশুরদের সুবিধা হয়। আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে তাদের আর কোন অসুবিধা রইল না। এটি আমাদের বুঝতে দেরি হয়েছে। এর সুযোগ বুঝেই তাকে হত্যা করে আবার কুট কৌশলে আমার বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীকে ওই মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে তার।

তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে ছেলে হত্যার দায় থেকে বৃদ্ধা শ্বাশুড়িকে অব্যহতি দিয়ে তার কারামুক্তির দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *