অনলাইনঅপরাধকালিগঞ্জশ্যামনগরসদরসাতক্ষীরা জেলা

কালিগঞ্জের মধুসূদন কর্মকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মক্ষীরানি মাছুরা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মধুসূদন কর্মকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মাছুরা বেগম(২৭) নামের এক মক্ষীরানিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মাছুরা বেগম শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবু বক্কর গাজীর মেশে ও একই এলাকার আব্দুস সোবহানের স্ত্রী। আটকের সময় তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে নেহা আক্তার তুষ্টিও সঙ্গে ছিল।

স্থানীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সদর উপজেলার পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জামায়াত অফিসের বিপরীত গলির ভেতরে ভাড়া বাসায় থেকে সুন্দরী মাছুরা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির মামলাও রয়েছে। এরই জেরে সে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ডাকাত দলের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে মাছুরার। বিয়েও করে ডাকাত দলের এক সদস্যকে।

একপর্যায়ে মাছুরা ডাকাত দলের সর্দারনী বা থলেদার হিসেবে বিভিন্ন প্রকার চোরাই মালামাল বিশেষ করে স্বর্ণ বিক্রির মূল নায়িকা বনে যায়। সর্বশেষ কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মধূসুদন কর্মকারের বাড়ী থেকে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণ বিক্রয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মধুসূদন কর্মকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের সদস্যদের সাথে আসামী মাছুরা বেগমের সখ্যতা থাকায় লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার তার কাছে গচ্ছিত রাখে এবং পরবর্তীতে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার তার দ্বারা অজ্ঞাত স্থানে বিক্রয় করে। তদন্তকালে পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগসহ মোবাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে উক্ত মামলার ঘটনার সাথে মাছুরা বেগমের জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

কালিগঞ্জের নাছির উদ্দীন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে মাছুরা শ্যামনগরের একটি জুয়েলার্স এর দোকানের কিছু স্বর্ণের গহনা বিক্রি করেছে। তাছাড়া সাতক্ষীরা জামায়াত অফিসের সামনের গলিতে থাকা তার ভাড়া বাসায় বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ও মাদক আছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই দিবাগত রাতে কালিগঞ্জের মধুসূদন কর্মকারের বসতবাড়ীতে ৫/৬ জন ডাকাত প্রবেশ করে তাকে ও তার স্ত্রীসহ এক ভাইকে ছুরি ও লোহার রড দিয়ে গুরুতর জয়খম করে নগদ ২২ হাজার টাকা, ৭ ভরি ০৯ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা ও একটি মোবাইল ফোন লুঠ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্রীরামপুর গ্রামের সীতানাথের ছেলে মধুসূদন কর্মকার বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে পরদিন (৬ জুলাই) একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া মাছুরার বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানা পাঁচটি মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *