যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধুসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১জুন যশোর জেলার শার্শার গোগা গ্রামে। সাতক্ষীরা শহরের শিবতলা পশ্চিমপাড়া এলাকার বিল্লাল শেখের (৪৮) মেয়ে আকলিমার সাথে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় শার্শার গোগা গ্রামের রবিউল গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলামের (৩৪) সাথে। এরমধ্যে কোল জুড়ে আসে তাদেও একটি ফুটফুটে শিশু কন্যা। আকলিমার অসহায় ভ্যান চালক পিতা বিল্লাল শেখ এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিয়ের পর মেয়ের সূখের জন্য জামাই রেজাউল ইসলামকে যৌতুক হিসেবে কয়েক ধাপে দেড় লক্ষাধিক নগদ টাকা দিয়েছি। তাছাড়া বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ছোট খাটো কয়েকটি স্বর্ণের গহণাও দেয়া হয়েছে। তাতেও মন ভরেনি পাষন্ড জামাই রেজাউল ইসলাম ও তার পিতা-মাতার। ফলে প্রায়ই যৌতুকের দাবীতে তার স্বামীসহ শ^শুড় বাড়ির স্বজনরা আকলিমাকে নির্যাতন চালাতো। বাড়ির ছাদ নির্মাণের নামে আবারো টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। অসহায় পিতার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলে বেড়ে যায় নির্যাতন। তারই জের ধরে গত ২০জুন মেয়ে আকলিমাকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে সংবাদ দেওয়া হয়। সংবাদ শুনে গত ২১ জুন তিনি তার স্ত্রী সূখজান বেগম (৪০), তার শালি নিলুফা (৩৫) গোগা গ্রামে যায়। এসময় তার জামাই রেজাউল ইসলাম, মেয়ের শ^শুড় রবিউল গাজী (৫২), শ^াশুড়ী জাহানারা খাতুন (৪৫), মামা শ^শুড় কলারোয়া মদনপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাহাবুর রহমান (৫০) তাদেরকেও ব্যাপক মারপিট করে এবং ৩শত টাকার ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং তার নাতনিকে (শিশু কন্যাকে) তারা অন্যত্র সরিয়ে নেয়। পরে তারা তারা সেখান থেকে সুকৌশলে পালিয়ে চলে এসে সাতক্ষীরা সদও হাসপাতালে ভর্তি হয়। এঘটনায় শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।