কালিগঞ্জে আলোকিত শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানের ইন্তেকাল
গাজী হাবিব/তাপস কুমার ঘোষ/ মাসুদ পারভেজ: কালিগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় মূল্যবোধ, শিক্ষা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়া মাওলানা আজিজুর রহমান আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নেয়ার পথে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মাওলানা আজিজুর রহমান কালিগঞ্জের চৌমুহুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তিনি শুধুমাত্র একজন ধর্মীয় ব্যক্তি বা শিক্ষকই ছিলেন না—তিনি ছিলেন সমাজের নীরব সংস্কারক, মানবিক মূল্যবোধে উজ্জ্বল একজন অভিভাবক, যাঁর জীবনাচরণ ও শিক্ষাদর্শন ছিল অনেকের জন্য অনুকরণীয়।
তিনি কালিগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি, কাটুনিয়া রাজবাড়ী কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কর্মপরিষদের সদস্য ডা. মিজানুর রহমানের গর্বিত পিতা।
মরহুম স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর জানাজার নামাজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর নিজ গ্রাম ফতেপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে কালিগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা), এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা) গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীর হৃদয়ের স্পন্দন, আলোর বাতিঘর, আদর্শ শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই মহান শিক্ষককে নিয়ে বইছে শোকের মাতম। বিশেষ করে চৌমুহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়নের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
এছাড়া স্কুলের আশপাশের প্রায় কুড়িটি গ্রামের অভিভাবক থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। তাঁর মতো একজন আলোকিত মানুষ চলে যাওয়ায় শুধুমাত্র পরিবার নয়, গোটা কালিগঞ্জবাসী এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো। তাঁর জীবন ও আদর্শ দীর্ঘদিন সমাজের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।
উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।