অনলাইনঅপরাধআইন আদালতকলারোয়াফিচারলিডসাতক্ষীরা জেলাসারাবাংলা

কলারোয়ার সীমান্তে হাত বাড়ালেই মেলে মাদক, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যুবসমাজ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, কলারোয়া: পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমানা বেয়েই স্রোতের মত আসছে মাদক। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় সকল প্রকার নেশার দ্রব্য।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলারোয়া উপজলোর ১৭ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক পাচার হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বানের স্রোতের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে হেরোইন, ফেন্সিডিল ইয়াবাসহ বিভিন্ন ভয়াবহ মাদকরে বিস্তার ঘটছে। কোমলমতি শিশুসহ তরুণ-যুবক অনেকেই মাদকের মরণ ছোবলে আক্রান্ত। থানা-পুলশিরে কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং দিন দিন অবস্থা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। বর্তমান মাদক সমস্যাটি এখন উদ্বগেজনক র্পযায়ে পৌঁছেছে। বর্তমান মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের অসামাজিক কার্যকলাপ কারণে সমাজে সৃষ্টিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থী, যুব সমাজ উপর। এর ফলে স্কুলগামী অনেক ছাত্ররা লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিশেষ করে কাকডাঙ্গা, কেড়াগাছি, ভাদিয়ালী, চান্দা, বড়ালি, হিজলদি, সুলতানপুর, চান্দুরিয়া এলাকা থেকে ব্যাপক আকারে মাদক পাচার হচ্ছ। সীমান্তর্বতী এই এলাকাগুলো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে চাহদিা সম্পন্ন।

এছাড়া চন্দনপুর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর ন’কাটি তিন রাস্তার মোড় নামক বটতলা এবং গয়ড়া বাজার, বিশেষ করে খলিল এর বটতলা এলাকায় মাদক বিক্রয় ও সেবনের অভয়ারণ্যে পরণিত হয়ছে। এমনকি হাত বাড়ালে গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ ও ইয়াবা পাওয়া যায় যখন তখন।

এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই নাম না বলার শর্তে বলেন, সীমান্ত এলাকার বাজারের বিভিন্ন সেলুন, রাস্তার ধারে থাকা গোপনে দোকানগুলোতে এসব মাদকদ্রব্য মজুদ এবং প্রকাশ্যে বিক্রয় হয়। মাদকের এই ব্যাপক ভয়াবহতা নিয়ে এলাকার সচেতন মহল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য চিন্তিত।

এলাকার বাসন্দিারা জানান, রাতে অপরচিতি ব্যক্তিদের আনাগোনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। রামভদ্রপুর এলাকায় খেয়াল করলে কাউকে না কাউকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখা যাবে। ভয় ও চাপে আমরা কিছুই বলতে পারি না। এই ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা ছাড়া কোন পথ নেই।

পাশাপাশি তারা বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলওে মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে এসব হোতাদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।

এই বিষয়ে কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমার কাছে বেশি নেই, তবে আমরা ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *