সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভা
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের নিয়ে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি.এম নুর ইসলাম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সময় টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আর টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, সদস্য কাজী জামাল উদ্দীন মামুন, আব্দুস সামাদ, সরদার আসাদুজ্জামান মধু, নতুন সদস্য মশিউর রহমান ফিরোজ, এড. এবিএম সেলিম, প্রভাষক আমিনুর রহমান, আবু সাঈদ, তৌফিকুজ্জামান লিটু, রেজাউল ইসলাম বাবলু, মুনসুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
আলোচনাসভা শেষে সকল সংবাদকর্মীদের প্রেসক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হকের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সংকট নিরসনে দ্রুত নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দিলে সেই কর্মসূচি আগামী ৭দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা না হলে পরবর্তী সভা ৭দিন পর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে কতিপয় ভূ……রা অবৈধভাবে দখল করে রাখার পায়তারা চালাচ্ছেন। সাতক্ষীরার সংবাদকর্মীরা সেটি হতে দেবে না। প্রেসক্লাব কখনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। প্রেসক্লাব সাতক্ষীরার গণমানুষের আশ্রয়স্থল। কিছু অসাংবাদিক যারা বিগত সময়ে জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল, গত ৫ আগষ্টের পরে ভোল পাল্টিয়ে তারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সেজে আবার প্রেসক্লাব দখলে নিয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছর ধরে কোন পত্রিকায় সাংবাদিকতা না করে যিনি প্রেসক্লাবের ৫ বারের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনিই এখন ফ্যাসিবাদ বিরোধী পরিচয় দেন। আর তিনিই এখন মূল ধারার সাংবাদিকদের ফ্যাসিষ্ট হিসাবে আখ্যায়িত করেন। সাতক্ষীরা ২৪ লক্ষ মানুষের পক্ষে কথা বলার প্রতিষ্ঠানটি এভাবে অসাংবাদিকদের হাতে জিম্মি থাকতে পারেনা।