যশোরে ছিনতাইয়ের ৩২ লাখ টাকা সহ গ্রেফতার ৭
হাসানূল কবীর, শার্শা: যশোর মণিরামপুর উপজেলার জামতলা এলাকা থেকে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউটরের ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার এবং ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) বিকালে পুলিশ সুপার যশোর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ব্রিফিং-এ জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে নগদ ডিস্ট্রিবিউটর রবিউল ইসলাম যশোর থেকে একটি প্রাইভেটকারযোগে মণিরামপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জামতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা গাড়ির গতিরোধ করে এবং চাপাতির ভয় দেখিয়ে গাড়ির জানালা ভেঙে ভেতরে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পরপরই ভিকটিম ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তৎপর হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া, সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেল ও মণিরামপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
অভিযানে ঝিকরগাছা থেকে সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকী ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো– ঝিকরগাছা থানার খোষাল নগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (২৪) ও মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২১); দিগদানা গ্রামের ইসরাইল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৬) ও রাশেদুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলাম (৩৩); বাঁকড়া দিগদানা গ্রামের মৃত দীন মোহাম্মদের ছেলে ইমাদুল গাজী (৪৬) ও ইমাদুল গাজীর ছেলে নাসিম গাজী (১৯); যশোর পোস্ট অফিস পাড়ার খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে ইউসুফ আলী ওরফে সাজু (৩১)।
প্রাইভেটকারটির চালক ইউসুফ আলী ওরফে সাজুর পরিকল্পনায় সংঘবদ্ধ চক্রটি ছিনতাই কার্যক্রম চালায়। ইমাদুল গাজীর হেফাজত থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাপাতি, টাকা বহনকারী একটি ব্যাগ এবং ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।