অপরাধআইন আদালতদেবহাটারাজনীতিসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৯ লাখ টাকা ও ৭ ভরি সোনার গহণা লুট, আটক-৩

স্টাফ রিপোর্টার: সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদার দাবিতে এক ইটভাটা মালিককে ছুরিকাঘাত করে জখম করত: ৯ টাকা লাখ ও ৭ ভরি সোনার গহনা ছিনতাই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তিনজনকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে।

আটককৃতরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আনিসের ছেলে নাহিদ হাসান, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের আফতাব মোড়লের ছেলে আব্দুর রহিম, আশাশুনি উপজেলা সদরের আব্দুর রফিকের ছেলে আব্দুর রহমান।

দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বিসমিল্লাহ ব্রিক্ম এর মালিক গোলামম রব্বানি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর দিকে পাঁচজন যুবক হাতে অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢোকে। এসময় তারা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় দুইজন তাকে ছুরি দিয়ে দুই বাহু ও পিঠে জখম করে। এ সময় তিনি পালিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুইজন তাকে ধাওয়া করে।

গোলাম রব্বানী ভাই আব্দুর রব জানান,দুপুর দুটোর কিছুক্ষ আগে তার মেয়ে রাকিরা ইয়াসমিন রিম ও জামাতা আবু রায়হান তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় মেয়ে তাদের পরিহিত দুটি সোনার রুলি,তিনটি সোনার আংটি ও একটি সোনার চেইনসহ নয় লাখ টাকা টেবিলের ড্রয়ারে রাখে। এরপর তারা একসাথে বারান্দায় খেতে বসে। খাওয়া শুরুর কিছুক্ষণ পর তিনজন যুবক হাতে সটগান নিয়ে তাদের বারান্দায় ওঠে। একজন তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের মাথায় সটগান ধরে। অন্য একজন তার (রব) ডান হাতে শর্টগান দিয়ে আঘাত করে। পরে তারা ঘরে ঢুকে টেবিলের ড্রয়ার খুলে নগদ নয় লাখ টাকা, দুটি সোনার রুলি, একটি সোনার চেইন ও তিনটি সোনার আংটি নিয়ে চলে যায়। তাদের পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ধাওয়া করে তিনজনকে ধরে ফেলে।

তারা খবর না দিলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ বাড়িতে এসে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ভাইপো সেনাবাহিনীর কর্ণেল রিয়াদ হাসানকে জানানো হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবহাটা উপজেলার আহবায়ক মুজাহিদ ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, গোলাম রব্বানী আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। সমন্বয়করা বৃহস্পতিবার তাদের বাড়িতে গেলে তাদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে তিনজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এটা একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কিবরিয়া ঘটন অস্বীকার না করেই বলেন, সেনাবাহিনী আটককৃতদের পুলিশের কাছে তুলে না দিলে বিস্তারিত জানানো যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *