অনলাইনঅপরাধআন্তর্জাতিক

ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঈদের দিনও ফিলিস্তিনের গাজায় থামেনি ইসরায়েলের হামলা। এর মধ্যেই কেউ কেউ স্বজনদের কবর জিয়ারতে বের হন। গতকাল মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায়

ঈদের দিনও ফিলিস্তিনের গাজায় থামেনি ইসরায়েলের হামলা। এর মধ্যেই কেউ কেউ স্বজনদের কবর জিয়ারতে বের হন। গতকাল মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায়ছবি: এএফপি
মুসলিমদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শুক্রবার ঈদ উদ্‌যাপিত হয়। এই ধর্মীয় উৎসবের দিনেও ফিলিস্তিনের গাজায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩৮ জন।

গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগ ‘সিভিল ডিফেন্সের’ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সকাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অনেকগুলো হামলায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন।

অবশ্য হাসপাতালগুলোর সূত্রের বরাত দিয়ে সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪২ বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর পশ্চিম ও উত্তরে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ খবরের মধ্যেই শুক্রবার গাজায় সব ধরনের ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ)’।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত এই ফাউন্ডেশনের দেওয়া ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।

এদিকে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় কোরবানির ঈদ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মধ্যে কেটেছে গাজার বাসিন্দাদের। ঈদের দিন যুদ্ধে নিহত শিশুদের কবরে গিয়ে মায়েদের আহাজারি করতে দেখা যায়।

শিশুকন্যার কবরের পাশে বসে কাঁদছিলেন উম্মে আহমদ আউয়িদা। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা টানা দ্বিতীয় ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করছি বোমা, বিমান হামলা, মৃত্যু, অবরোধ ও ক্ষুধার মধ্য দিয়ে তথা মানুষের ওপর চালানো সব ধরনের নির্যাতনের মধ্যে।’

উম্মে আহমদ আউয়িদা বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের সঙ্গে অনেক কিছু ত্যাগ করেছি, আমরা আমাদের ঘরবাড়ি ও নিজেদের হারিয়েছি, আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *