অনলাইনঅপরাধআন্তর্জাতিকজাতীয়সাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ

গাজী হাবিব: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৩ জন বাংলাদেশীকে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাদেরকে পুশব্যাক করা হয়। তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটি জেলায়।

আটকৃকতারা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের জাবেদ হোসেন, জাবেদ আলীর স্ত্রী শিউলী বেগম, জাবেদের পুত্র সুমন হোসেন,নুর আলী ও সজীব, সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশি বেগম, নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র মোশাররফ হোসেন, মোশারফ হোসেন স্ত্রী লাইলি বেগম, মোশাররফের কন্যা মোর্শেদা খাতুন ও মিম খাতুন,মোশাররফের পুত্র লুৎফর রহমান লাবিব, একই জেলার মোক্তারকুটি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল মান্নাফ, আব্দুল মান্নাফের স্ত্রী আনজুয়ারা, কন্যা সুমাইয়া খাতুন, পুত্র আব্দুল্লাহ, বড়ভিটা গ্রামের মমিন আলীর পুত্র মজিবর রহমান, মজিবর রহমানের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, তাজুল ইসলামের কন্যা শাফিরানা, দুলালী ও পুত্র শাকিল এবং ঝালকাঠি জেলার দারকী গ্রামের আব্দুল গফফারের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম।

কুশখালী বিজিবি’র বিওপি কমান্ডার সুবেদার মেজবাহউদ্দীন জানান, কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাককৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি। আটকের পর তাদেরকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী,৭ জন পুরুষ ও ৯ জন শিশু রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার জাবেদ হোসেন জানান, তারা হরিয়ানা রাজ্যে ইট ভাটায় কাজ করতেন। পুলিশ তাদেরকে ১৫ মে আটক করে নিয়ে আসে। পরে কুশখালী সীমান্ত এলাকায় একখানে ১০ দিন আটকে রেখে নিরযাতন চালিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএস সদস্যরা।তাদের অনেকেই এখনো সেখানে আছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক জানান, বিজিবি ২৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছেনা। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *