সাতক্ষীরায় পরিবেশ বিনষ্টকারী হাসান গংদের শা’স্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: নারকেল পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে আবুল কালামের স্ত্রী আছিয়া ও তার ছেলে সাগরকে কুপিয়ে জখমকারী হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকা বাসী।
শনিবর (১৭ মে) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যকাটিয়ায় (মাঠপাড়া) স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে শতাধিক পরিবার মিলেমিশে বসবাস করি।
শুধুমাত্র হাসানের (৪২) পরিবার এই এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। যখন তখন যে কারো গায়ে হাত তোলে। ঘর থেকে দা বের করে আনে কোপানোর জন্য। শুধু হাসান একা নয় তার পরিবারের কোন সদস্যই কারো সাথে মিলেমিশতে থাকতে পারে না। সামান্য কারণে আবুল কালামের স্ত্রী ও সন্তানের উপরে তারা যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা কোন সুস্থ মানুষ করতে পারেন। আমরা হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
বক্তারা আরো বলেন, হাসান তার পিতাকেও ছাড় দেয়নি। তাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। কারো সাথে সামান্য মুখ বলাবলি হলেও এই হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে অস্ত্র বের করে নিয়ে আসে। অসহায় মহিলাদের যখন তখন মারপিট করে। এমনকি তার আপন মামীকেও প্রায় মারপিট করে। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। আমরা হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
স্থানীয় বৃদ্ধা লালবানু বলেন, হাসানের ভাই জুল হোসেন ও ছেলে সাব্বির জামিনে বাইরে এসেই আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা তাদের ভয়ে আতঙ্কিত। হাসানকেও যদি জামিন দেওয়া হয় তাহলে বাড়িতে এসেই আমাদেরকে মারপিট করতে পারে। আমি হাসান ও তার বউয়ের শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে দুপুরে আবুল কালামের ঘরের চালে থাকা নারকেল পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাসান ও তার স্ত্রী কুড়াল দিয়ে আছিয়া খাতুন (৫০)কে শ্লীলতাহানী করত: কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ঠেকাতে এলে আছিয়া খাতুনের ছেলে মোঃ সাগর (৩৩)কে কুপিয়ে ডান হাতের রগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ঘটনায় আবুল কালামের অপর ছেলে মোঃ শাওন (২৭) মঙ্গলবার (১৩ মে) সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় হাসান, তার স্ত্রী সালমা, ছেলে সাব্বির ও ভাই জুল হোসেন গ্রেপ্তার হয়। পরে জুল হোসেন ও সাব্বির জামিন পেয়েছে। জখম হওয়া আছিয়া খাতুন ও তার ছেলে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল হক সুবেদারের ছেলে হিরাক, হিরকের স্ত্রী ছন্দা খাতুন, হাসানের মামী ফজিলা বেগম, হাসনের মামা ওসমান, ওমর আলী, বৃদ্ধা লালবানু, সাহারুলের স্ত্রী হাবিবা আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করে হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দাবী করেন।