কালিগঞ্জে এসএম বাবু ও দোসরদের দৌরাত্মে দিশেহারা সাধারণ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জের ত্রাস নদীর চরে বসবাস করা এসএম বাবু। এসএম বাবুসহ তার দোসরদের দৌরাত্বে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। জমি জায়গা আর তেমন ব্যবসা বানিজ্য না থাকলেও গত ৫ আগষ্টের পরেই হঠাৎ বিএনপি নেতাবনে যাওয়া এই এসএম বাবু অন্যের জমি দখল, ঘের দখল, বালীর চর দখল আর থানায় দালালী করেই এখন সবেসর্বা। পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এখন উপজেলাবাসীর।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর চরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে হাফিজুর রহমান বাবু ওরফে এসএম বাবু। মৃত এছেম আলী বাবুর ছেলে ১৩ সালের আগে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ১৩ সাল পরবর্তী দলের কোনো মিছিল, মিটিং, সভা, সেমিনার, হরতাল, অবরোধে দেখা যায়নি।
এসময়ে তিনি উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি ওয়াহেদ সাহেবের কর্মচারী হয়ে আওয়ামীগের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিয়ে কাটিয়েছে। সেই সময়ে বিএনপি মোস্তফা মেম্বর, গফফার মেম্বর, জিএম রফিকুল ইসলামসহ অনেক নেতাকর্মীর ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ৫ আগষ্টের পরেই এসএম বাবু তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহোচর দালাল রবিউল অরফে টেকো রবিউলকে নিয়ে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘের দখল করে আছে আজও। যা নিয়ে দলের ভিতরে ও বাহিরে বইছে রক্তক্ষরণ।
সম্প্রতি জেলা বিএনপি ঘোষিত সার্স কমিটিতে কুশুলিয়া ইউনিয়নে হাফিজুর রহমান এসএম বাবু ও টেকো রবিউল দালালের নাম থাকায় দলীয় ভাবমুর্তী ক্ষুন্নসহ উপজেলা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভুক্তভোগী ও এলাকার সচেতন মহল এই দুই চিহৃিত দালালের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এদিকে এসএম বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিগত কমিটিতে বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক ছিলাম, ৫ তারিখের পরে ঘের নিয়েছি ঠিক তবে লীজ নিয়ে ঘের করছি। স্থানীয় রাজনীতির কারণে দুই একজন আমাকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারে।