উপজেলা পর্যায়ের অংশীদারদের জন্য জলবায়ু অভিযোজন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই জীবিকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের অংশীজনদের জন্য জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কনফারেন্স রুমে বেসরকারি সংস্থা আনন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অফিসার আজিজুল হক, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মিলন, অনিমা রানী মন্ডল, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনে আফজাল হোসেন, আনন্দ সংস্থার এগ্রিকালচার ও লাইভলিহুড অফিসার মো. ইমরুল কবির, মেইল অফিসার আমিনুর রহমান, প্রকল্প ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম , প্রশিক্ষণ অফিসার রুমন বরুয়া, রায়না বুশরি ও ফিল্ড অফিসার রাবেয়া বুশরি প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এই অঞ্চলটি ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রভাব সাতক্ষীরার মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো কৃষি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব ইতিমধ্যেই সাতক্ষীরার মানুষের জীবন ও জীবিকাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সুস্পষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষের টিকে থাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের চাষ, মিঠা পানির বিকল্প উৎস তৈরি, টেকসই কৃষি ও মৎস্য চাষের পদ্ধতি অবলম্বন, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। অন্যথায়, জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারা সাতক্ষীরার ভবিষ্যৎকে আরও কঠিন করে তুলবে।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীজনদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং অভিযোজন করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবিকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণ তাদের জীবনযাত্রাকে আরও স্থিতিশীল এবং টেকসই করতে সহায়তা করবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে।