শ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলা

শ্যামনগরে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মোঃ ইসমাইল হোসেন, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চুনা নদীর পানি নিস্কাশনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

শুক্রবার (৯ই মে) বিকাল পাঁচটায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম রুস্তম আলীর সঞ্চালনায় ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে চুনা গ্রামবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর সরদার, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জি এম রুস্তম আলী, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহাতাব উদ্দিন সরদার, সমাজ সেবক আব্দুল্লাহ আল বাকি, নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক কিরণময় মন্ডল, শাহাজাহান শেখ, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, মোঃ নুরুজ্জামান, শান্তি মন্ডল, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জি এম রুস্তম আলী বলেন, আমরা উপকূলের মানুষ কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না। আমরা সুন্দরবনের হিংস্র বাঘের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকি। আপনি যদি মনে করেন এ এলাকার মানুষের উপর স্টিমরোলার চালাবেন তাহলে আপনাকে ছাড় দেয়া হবে না।

মানববন্ধনে আব্দুল্লাহ আল বাকি বলেন, দীর্ঘ চার যুগ ধরে এই স্লুইচগেটটি দিয়ে আমরা পানি নিষ্কাশন করে আসছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন খাল না থাকায় আমরা এই সুইচ গেটটি ব্যবহার করে আসছি। প্রশাসনের কাছে দাবি যাতে এই গেটটি সচল রাখা হয়।

মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহতাব উদ্দিন সরদার বলেন, সাদা সোনা ক্ষ্যত শত শত বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষের জন্য এই খালটি এই এলাকার মানুষের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব যাতে এই গেটটি বন্ধ না করে সচল রাখা হয়।

হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত ৪০/৪২ বছর আগে চিংড়ি চাষের সুবিধার্থে সরকারি অনুমোদন নিয়ে এই স্লুইচগেটটি নির্মাণ করেন তোজাম্মেল হক। বর্তমানে শত শত বিঘা জমির চিংড়ি চাষের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।

তিনি আরো বলেন জৈনিক সবুজ খান এই এলাকায় এসেছে ঠিকাদারি করতে কিন্তু একটা সময়ে তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে চুনা পাড়ের এই খাস জমির উপরে। স্থানীয়দের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিনের স্লুইচগেটটি বন্ধ করে দেয়ার কথা বললে তখন এলাকাবাসী আর থেমে থাকেনি। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মানিত ডিসি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দীর্ঘদিনের এই পানি নিষ্কাশনের পথটি যেন সচল থাকে সে ব্যবস্থা আপনারা করবেন।

উল্লেখ্য, জৈনিক সবুজ খান এই জায়গাটি ইজারা নেয়ার পরে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে নদীর চরে বসবাস করা চারটি পরিবারের যাতায়াত স্কেবেটার দিয়ে কেটে দিয়েছে। এই চারটি অসহয় পরিবার এখন মানবতার জীবন যাপন করছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *