অনলাইনকৃষিসাতক্ষীরা জেলাসারাবাংলা

সাতক্ষীরার গ্রামে গ্রামে ধান শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা

মেহেদী হাসান শিমুল: এবছর ইরি ধানের ফলন ভালো হয়েছে আমরা অনেক খুশি। ধান করতে যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকার ধান বিক্রি করে বাকি ধান খোরাকির জন্য রেখে দিয়েছি সেগুলো সিদ্ধ শুকনো করে ঘরে তুলতে পারলে আমরা একটু স্বস্তি পায়। সেজন্য ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে পানিতে ভিজিয়ে রাখা ধান গরম পানিতে সিদ্ধ করি । সেগুলো আবার রোদে শুকিয়ে মাড়াই করার জন্য প্রস্তুত করি। এমনভাবে বর্ণনা করছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা খাতুন। এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াই ধানের ফলন ভালোই হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেন জানান এবছর সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৩২৮৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯০ হাজার মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ জমিতে ইরিবোরো ধানের ফলন সংগ্রহ শেষ ।

বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি আর বজ্রপাত আবহাওয়া ভিতরে ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণীরা । যে কারণে তাড়াহুড়া করে ধান কাটা ও মাড়াই করেছে কৃষকেরা। আর এই রৌদ্র ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়াতেও চলছে ধান শুকানোর কাজ। মাঠ থেকে ধান কাটা ও সংগ্রহে পুরুষের অবদান বেশি থাকলেও ধান সিদ্ধ শুকানোর কাজে গ্রামীণ নারীদের কর্মব্যস্ত থাকে বেশি। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে দিনভর তপ্ত রোদে পুড়ে ধান শুকাতে ব্যস্ত গ্রামের গৃহবধূ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা। ধুলিহরের মাজেদা বেগম বলেন আমি প্রতিদিন ৪ বস্তা ধান সিদ্ধ করি এই ধান শুকাতে ২- ৩ দিন সময় লাগে।

নতুন ফসল ঘরে ওঠায় কিছুটা আনন্দে ছিল ভালো ফসল হওয়ায় কৃষকেরা। বৈশাখ মাস শেষ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টির ফাকে হঠাৎ প্রখর রৌদ্র ওঠায় উৎসব হিসাবে ধান শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সাতক্ষীরায় গ্রামের বসত বাড়ির আঙিনায় ও ফাঁকা জায়গায়,খেলার মাঠে চলছে কাক ফাটা রৌধে কষ্টের ফলানো বোরো ধান শুকানোর কাজ।

ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের বিকাশ দেবনাথ বলেন, “মাঠ থেকে ধান কেটে আনতে পারলেও বৈরী আবহাওয়ার ভিতর দিয়ে ধান মাড়াই করা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির ফাকেও মাঝে মধ্যে প্রখর রৌদ্র ওঠায় ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *