কলারোয়াসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরা সীমান্তে অপরাধ রোধে বিজিবির মতবিনিময় ও জনসচেতনতা মূলক সভা

গাজী হাবিব: সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমসহ বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিরকল্পে ৩৩ বিজিবির উদ্যোগে মতবিনিময় ও জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ মে) সকাল ১০ টায় কলারোয়ার সুলতানপুর বিওপিতে এ মতবিনিময় ও জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএ-৬৩৮০ লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি।

সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ও চন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সীমান্তবর্তী জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমসহ বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘‘একটি মৃত্যু একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না’’। বর্তমান সময়ে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে বল প্রয়োগ, গোলাগুলি হওয়ার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ কর্তৃক জীবননাশের ঝুঁকি রয়েছে। এ লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ও যে কোন ধরণের দূর্ঘটনা রোধকল্পে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত অনুপ্রবেশ/অতিক্রম, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার এবং সীমান্তে অপরাধমূলক কার্যক্রমে না জড়ানোর বিষয়ে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেন।

কর্ণেল আশরাফুল হক বলেন, সীমান্তবর্তী জনগণকে জানাতে হবে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা যাবে না। সন্ধ্যার পরে সীমান্তে অহেতুক ঘোরাঘুরি করা যাবে না। সীমান্তে সন্ধ্যার পরে ঘোরাঘুরি করলে বিজিবি কর্তৃক আটক করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের সীমান্তে চাষাবাদের জমি রয়েছে, তাদেরকে দিনের আলোয় চাষাবাদের কার্যক্রম শেষ করে সীমান্ত এলাকা হতে ফেরত আসার জন্য জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারনকে প্রেষণা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। সীমান্তে কৃষিকাজ করা জনসাধারণ নিকটবর্তী বিজিবি পোষ্ট, বিওপি, কোম্পানীকে অবগত করে গমনাগমন করবে। এছাড়া রাতের অন্ধকারে, বৈরী আবহাওয়ায় এবং অস্বাভাবিক সময়ে কোন বাংলাদেশী নাগরিক চাষাবাদ, জমিতে কাজ অথবা অন্য কোন প্রয়োজনে সীমান্তে গমন করবে না। অতি গুরুত্বপূর্ণ যেমন, জোয়ারের কারনে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মাছের ঘেরের মাছ চলে যাচ্ছে ইত্যাদি অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণে সীমান্তে যাওয়ার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষনিক বিজিবি কোম্পানী/বিওপি/পোষ্টে এসে বলবে এবং বিজিবি টহল দলের তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম শেষ করে সীমান্ত ত্যাগের জন্য জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারনকে প্রেষণা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।

উপস্থিত জনপ্রতিনিধিগণ এ বিষয়ে এলাকার জনসাধারন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সভা-সেমিনার ও প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুস্কৃতিকারীদের তালিকা বিজিবিকে প্রদানের বিষয়ে অধিনায়ককে আশ্বস্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *