যশোরের দর্জি রেজাউলের ম/র/দে/হ মিললো আশাশুনিতে
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর জেলার দর্জি রেজাউল ইসলামের মরদেহ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার মিকার রেজাউল ইসলাম যশোর কোতোয়ালি থানার শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি দর্জির কাজ করতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জন হলেন রিপন হাওলাদার (২৮), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার সবুজ (৩৮), সবুজের শ্বশুর একই উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের খোকন মোল্লা (৫২) ও সবুজের স্ত্রী প্রিয়াংকা বেগম (৩৫)।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম শহরের শংকরপুর এলাকায় কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের ঘর নিয়ে থাকতেন রিপন হাওলাদার ও সবুজ। পাশাপাশি থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে রেজাউল ব্যবসার জন্য পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়িসহ দুই শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এরপর সবুজ ও রিপনের সহায়তায় জমিসহ বাড়িটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ওই টাকা হস্তান্তরের কথা বলে ২২ মার্চ রাতে রেজাউলকে মুঠোফোনে ডেকে নেন সবুজ ও রিপন। এর পর থেকে রেজাউল আর বাড়ি ফেরেননি। এ ঘটনায় তার পরিবার জিডি করে। খোঁজ না পেয়ে এক সপ্তাহ পর অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপনসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, রেজাউল অপহরণের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি সবুজকে গত শনিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার সহযোগী রিপনকে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সবুজের শ্বশুরবাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে পুঁতে রাখা রেজাউলের শরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, যশোর থানা পুলিশের অভিযানে আমরা সহায়তা করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।