আশাশুনির কলেজ ছাত্রী অপহরণ: আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ পুলিশ সুপারের
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের একাদশ শ্রেণীর এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অপহৃত কলেজ ছাত্রী দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি। এমনকি গ্রেপ্তার করা হয়নি অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের। ফলে ভিকটিমের বাবা মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দ্বারস্ত হলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদকে তিন দিনের মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের এশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদ এর ছেলে এশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভিন খাতুন।
মামলা ও ঘটনার বিরনে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষকের মেয়ে দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুলে মানবিক বিভাগে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে কাদাকাটি গ্রামের এশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ফরিদুলের বাবা ও মাসহ স্বজনদের জানালে তারা আরো ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে গত ৮ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মাইক্রোবাসে করে কাদাকাটি গ্রামের তার বাড়ির পাশ থেকে একই এলাকার অপহরণ করে এশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম।
১২ মার্চ থানায় অভিযোগ দিলে ভিকটিমকে বিএনপি নেতা তুহিনুজ্জামান তুহিনের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করে অপহরণকারিরা। একপর্যায়ে গত ২৭ মার্চ থানায় অপহরণ মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ এর উপর। যদিও ঘটনার দেড় মাসেও পুলিশ কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পারেনি ভিকটিম উদ্ধার করতে। নিরুপায় হয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সাতক্ষীরা র্যাব এর কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা,খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ,আসামীরা সাতক্ষীরা শহরে প্রকাশ্যে ঘরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ। এমনকি বাড়িতে তালা লাগানো,আসামীরা হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া কথা না বলা ও আসামীদের ব্যবহৃত সিডিআর প্রতিবেদন না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কাল বিলম্ব করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, তিন দিনের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।