কালিগঞ্জসাতক্ষীরা জেলা

কালিগঞ্জ ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ৩০ হাজার টাকা ফেরত পেল ‘সিডা’র চাকরি প্রার্থীরা

তাপস কুমার ঘোষ, কালিগঞ্জ: “সিডা”নামে কথিত ভুয়া এন,জি,ওর চটকদারি চাকুরীর বিজ্ঞাপনের খপ্পরে পড়ে ৩০ জন চাকরি প্রার্থী যুবক-যুবতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের হস্তক্ষেপে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের মাধ্যমে ফেরত পেল ভুক্তভোগী ৩০ জন চাকরি প্রার্থী ১ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত বাজার গ্রামের গোলাম ইয়াসিনের ভাড়া ফ্ল্যাটে কথিত “সিডা “এন,জি,ওর অফিসে। তবে ওই সময় কথিত “সিডা “এন,জি,ওর মূল হোতা আশাশুনি থানার বুধহাটা এলাকার মিঠুন এবং খুলনার আলিমকে খোজ না মিললেও কালিগঞ্জ অফিসের ম্যানেজার পরিচয়দান কারী নলতা কাশিবাটি গ্রামের আজিজুল ইসলামের পুত্র আরিফুল ইসলাম ওরফে সোহাগ এবং তারালি গ্রামের গোলাম রহমানের পুত্র সাইফুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাধ্যমে চাকরি প্রার্থী ৩৬ জনের মধ্য ৩০ জনের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা ফেরত প্রদান করা হয়। বাকি টাকা “সিডা ” কর্তৃপক্ষ ফেরত না দিলে তাদেরকে থানায় মামলা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুক্তৎভোগীদের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২৪ মার্চ রবিবার ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে হাজির হয়ে কাগজপত্র নিয়ে বসে বসির কথা থাকলেও “সিডার “মূল হোতাদের কাউকে পাওয়া যায়নি । ওই সময় সদ্য যোগদানকারী ম্যানেজার পরিচয় দানকারী সাইফুল এবং আরিফুলকে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । সেই মোতাবেক গতকাল সকাল থেকে চাকরি প্রার্থীরা অফিসে এসে ভিড় জমাতে থাকে ।

ওই সময় সাংবাদিক, উপজেলা ছাত্র সমন্বয়কারী এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ১ হাজার টাকা করে ৩০ জনকে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে মূলত তাদের টাকা ফেরত না পাওয়া গেলেও বাকি ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীদের টাকা কিভাবে ফেরত বা সমস্যার সমাধান হবে সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান রবিবার কাগজপত্র নিয়ে ‘সিডা” এনজিওর কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার কথা থাকলেও হাজির না হওয়ায় থানায় মামলা করার জন্য বলা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেই নির্দেশ মোতাবেক কথিত “সিডা” এনজিওর সদ্য যোগদানকারী শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয় দানকারী সাইফুল এবং আরিফুল বাধ্য হয়ে এ টাকা ফেরত দেন। তবে এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা কথিত এনজিও মালিক দিয়েছে বলে শাখা ব্যবস্থাপক সাংবাদিকদের নিকট সত্যতা স্বীকার করেন।

প্রসঙ্গত সাতক্ষীরা থেকে দৈনিক পত্রিকায় সিডা এনজিওতে বিভিন্ন পদে মোটা অংকের টাকা বেতনের ফাঁদে ফেলে একটি চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাওয়ায় উপজেলার বারোটি শত শত ইউনিয়নের যুবক যুবতীরা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে উপজেলা জুড়ে শতশত যুবক-যুবতী আবেদন করে । উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অনেককে মাঠ পর্যায়ে স্যানিটেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফ্রি পায়খানা ঘর এবং পানির ট্যাংকি বিতরণের জন্য জরিপ কার্যক্রম গ্রামে গ্রামে চলে আসছিল। এরমধ্যে অনেকের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকার ট্যাংক দেওয়ার কথা বলে নগদ ৫/১০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিল। বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ায় টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসন এবং ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থীদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *