দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে নির্ঘুম রাত একমাত্র পুলিশই কাটায়: এসপি
নাজমুল আলম মুন্না: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে নির্ঘুম রাত একমাত্র পুলিশই কাটায়। পুলিশের কোন নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা ও ঈদ পার্বন নেই।
এছাড়া আমাদের লজিস্টিক সাপোর্টের অনেক কমতি রয়েছে। বেশিরভাগ জনগণ পুলিশের কাছেই সব ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসে কিন্তু সবধরনের সলিউশন দেওয়া পুলিশের এখতিয়ারের মধ্যে পড়েনা। পুলিশের পক্ষে জনগণকে জেগে উঠতে হবে। পুলিশের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই সবাই পুলিশকে ভুলে যায়। আমরাও তো কোন না কোন মায়ের সন্তান। আমরা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ অনেক ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি সেজন্য সরকারি কোন বরাদ্ধ থাকেনা। সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বদা সোচ্ছার রয়েছে এবং ন্যায়ের পক্ষে রয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে সড়কে কোন জেব্রা ক্রসিং নেই এমনকি কোন ডিভাইডার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করা প্রয়োজন এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অধিক লাভের আশায় প্রচুর অটোরিকশা এবং ভ্যান জেলা শহরে ভিড় জমিয়েছে যা যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারন।
তাছাড়া পরিবহন, বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড/টার্মিনাল শহরের বাইরে সরিয়ে নিলে এবং যত্রতত্র যাত্রী উঠানো নামানো এবং পার্কিং রোধ করা গেলে যানজট পরিস্থিতি আরো সহনীয় হবে। যানজট নিরসন পুলিশের একার কোন দায়িত্ব না এজন্য শহরে চলাচলরত সকল যানবাহনের চালককে সচেতনতার পাশাপাশি যদি পৌরসভা, বিআরটিএ কর্তৃক বৈধ লাইসেন্স প্রদান করেন এবং অবৈধ যানবহন শহরে ঢোকা বন্ধ করা গেলে অনেকটা যানজট হ্রাস করা সম্ভব। পুলিশ সবসময় সরকারি নির্দেশনা ফলো করে।
৫ আগস্টের পর সাতক্ষীরা পুলিশের কি কোন ঘাটতি রয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৩শ ৮০ জন তবে বর্তমানে ২শ জনের মত কম রয়েছে। এছাড়া বদলীজনিত কারনে বর্তমানে ৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মধ্যে মাত্র ১ জন এবং ২ জন সহকারী পুলিশ সুপার এর ভিতর ১ জন জেলাতে কর্মরত রয়েছেন।