কলারোয়াসদর

পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ির সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: কলারোয়ায় আপন চাচাত ভাইরা কর্তৃক জোর পূর্বক দখল করে নেওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগি পরিবার।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান, কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের মোঃ আব্দুস সোবহান মোড়লের ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মোঃ আব্দুল খালেক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কলারোয়া উপজেলার রায়টা মৌজার ১০৩২ খতিয়ানের ৪২০৬ দাগের দশমিক ৪৯০০ একর জমির মধ্যে দশমিক ১২২৫ একর জমি প্রায় ২৬ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলের আছি। এমতাবস্থায় বিগত ২০২২ সালের ৩০ মার্চ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও আলী আহমেদের নেতৃত্বে আমার চাচা মৃত ফজলে মোড়লের দুই ছেলে মোঃ জিয়ারুল (৪০) ও আবু দাউদ (৬০) এবং জিয়ারুলের স্ত্রী পারুল সহ অন্যান্যরা আমার ভাগের অংশের জমিতে জোরপূর্বক বিল্ডিং ও টয়লেট নির্মাণ এবং যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে কলারোয়া থানার এসআই ফরিদ আহমেদ জুয়েল ও এসআই হাসানুজ্জামানের সহযোগিতায় পারুল খাতুনকে বাদী করে দায়ের করা একটি নন জিয়ার মামলায় আমাকে কারাগারে প্রেরণের পর তারা উক্ত নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।

মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে পরবর্তীতে আমি উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় সহ শেখ ফারুক হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম, আবু দাউদ, পারুল খাতুন, আলমগীর হোসেনসহ ৮ জনের নামে ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি পিটিশন (২২১৭/২৪) মামলা দায়ের করি। পিটিশনটি কলারোয়া থানায় পৌছালে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ রবিউল ইসলামের উপর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে। এসময় তিনি আমার কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আসামীদের পক্ষে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এছাড়া উক্ত জমির উপর জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগও করা হয়। যেটা বর্তমানে ১৪৫ ধারায় মামলা চলমান। যার তদন্তের দায়িত্ব কলারোয়া থানা ও কলারোয়া এসিল্যান্ড দপ্তরে রয়েছে। তিনি এসআই শেখ রবিউল ইসলাহোর বদলীসহ তার দষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, চাচাত ভাইরা আমার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পতিত আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা গায়ের জোরে তার উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে আমাদেরকে পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছে। একই সাথে পুলিশ টাকার বিনিময় তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে ন্যায় বিচার পেতে অসহযোগিতা করেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি উক্ত দখলের সাথে জড়িত কতিপয় অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত যাতে তার পৈত্রিক সম্পতির দখল ফিরে পান তার প্রজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *