গরু চুরি করে ধরা খেয়ে উল্টো মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতনের মিথ্যা মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাদে আছে “চোরের মায়ের গলা ড্যাংগোর” ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে শহরের পলাশপোল এলাকায়। গরু চুরি করে ধরা খেয়ে উল্টো মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে চোরের মা। এমন কি গরুর মালিক ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। এঘটনায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে গরুর মালিক আনছার আলী।
জানা গেছে, শহরের পলাশপোল এলাকার পানসি রেস্তোরার পিছনে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আনছার আলীর একটি গাভী গরু গত ফেব্রুয়ারী হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও গরুটির কোন সন্ধান না পেয়ে মাইকিং শুরু করে।
এক পর্যায়ে শহরের পলাশপোল সাগর কাউন্সিলরের বাড়ির পিছনে গৃহবধুরা জানায়, দুইজন যুবক গত ফেব্রুয়ারী বেলা ১২টার দিকে বাড়ির সামনে হাতে দঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ওই গাভী গরুকে খাওয়াতে দেখে। এসময় ওই গৃহবধুরা গরু করা জিজ্ঞাসা করলে দুই যুবক তাদের গরু ও বিক্রি করা হবে বলে জানায়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী চুরির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে গরু চুরির অভিযোগে দুই যুবককে সেখানে হাজির করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। দুই যুবক শহরের পলাশপোল চৌধুরীপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে গফফার ও একই গ্রামের সরদারপাড়া এলাকার আমানুল্লাহর ছেলে রিফাত। তারা শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, গরুর মালিক আনছার আলীর বাড়িতে কাজ করার সুবাদে গরু চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত গফফার তার পরিচিত বলে সে বলে তোমরা গরু চুরি করেছো, আমার কোন অভিযোগ নেই। তবে গরু কোথায় রেখেছ বা কোথাও বিক্রি করলে বলো আমি মাফ করে দেব। তবে গরু চুরির ঘটনা স্বীকার না করায় গফফার ও রিফাতের বাড়িতে সংবাদ দিলে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সব কিছু শুনে বুঝে তাদের পরিবারের সদস্যরা চুরির দায় ঘাড়ে নিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গরু মালিক, সাবেক কাউন্সিলর শফিকউদ্দৌলা সাগর ও একজন সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা মারপিটের প্রতিবাদ করে গরু ফেরতের ব্যবস্থা করতে বলে বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে নির্মম নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী গফ্ফারের মা ফতেমা বেগম সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী আদালত নং ০১-এ আদালতে একটি মামলা করে। যার মামলা নং- সিআর ২৫৩/২৫ সাতক্ষীরা। এ মামলার ধার্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯জুলাই।
স্থানীয়রা আরো জানায়, গরু চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত গফফারের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাগলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির অভিযোগ আছে।
এঘটনায় আনছার আলী গরু চুরির অভিযোগ এনে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আনছার আলী তার গরু ফেরত ও প্রকৃত সত্য উৎঘাটন এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।