শার্শায় ছিনতাইকারীর আঘাতে জখম রোকনুজ্জামানের মৃ’ত্যু
হাসানূল কবীর, শার্শা: যশোর শার্শার উলাশীতে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে জখম রোকনুজ্জামান (৪৫) ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত রোকনুজ্জামান বাগআঁচড়া গ্রামের উজ্জল পাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। সে বাগআঁচড়ার নারিশ ফিস ফিড লিঃ কোম্পানির পরিবেশক রুহুল আমিনের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিল। তার এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১ঃ৪৫ টার দিকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত রোকনুজ্জামানের পরিবার জানায়, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) ফিস ফিডের ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করে অন্যান্য দিনের মতো যথারীতি বাড়ি ফিরছিল, ঐদিন নাভারণ থেকে বাগআঁচড়ায় ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে উলাশী যাত্রী ছাউনির কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওতপেতে থাকা ছিনতাইকারীরা চলন্ত মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় ধারালো হাসুয়া-দা দিয়ে তার বাম হাতে সজোরে কোপ দেয়, এতে সে মারাত্মক জখম হয় এবং ঘটনাস্থলেই চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। সেখান থেকে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ঐদিন রাত ১১ঃ৪৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, তার হাতের শিরাসমূহ এবং হাড় কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এবং অত্যাধিক রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোকনের পরিবারে এখন স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে ৪ জন ছিনতাইকারী রোকনুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে তার কাছে থাকা ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তার আত্মচিৎকারে আশেপাশে থাকা কিছু ব্যক্তি এগিয়ে আসে এবং তারা চাকু ও হাসুয়া-দা সহ ২ জন ছিনতাইকারীকে তাড়িয়ে ধরতে সক্ষম হয়। পরে শার্শা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিলে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া অপর ২ জনকে ঐদিন আটক এবং ৮ লাখ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আটককৃতরা হলো- যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কলাগাছিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৪) ও মৃত সামছুর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), চান্দেরপুল গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৮), এবং শার্শা থানাধীন ইসলামপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে রাব্বেল (২৩)। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. রবিউল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং উক্ত ঘটনায় আদালতে সোপর্দ ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আরো ১টি হত্যা মামলা রুজু করা হবে।