কালিগঞ্জ

বদলি ঠেকাতে দৌঁড়ঝাঁপ করেও শেষ রক্ষা হলো না কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর

স্টাফ রিপোর্টার: মিস্টার পার্সেন্টেজ খ্যাত, দুর্নীতিবাজ, ঠিকাদার কাম প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ নিজের বদলি ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ করেও শেষ রক্ষা হলো না।

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী পূর্নের। অবশেষে দুর্নীতির পূর্ণতা নিয়ে যেতে হলো কুমিল্লার মুরাদনগরে। ২০২৪ সালে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করে সেই থেকে মিলেমিশে করি কাজ লুটপাটে নাহি লাজ এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস ও উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ মিলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে দুর্নীতিতে পূর্ণতা লাভ করে। লুটপাটের খায়েশ মেটাতে ২ জনে মিলে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রকল্প দিয়ে কাজ না করে ভুয়া ছবি দিয়ে উন্নয়নের প্রকল্প গুলো খানাখন্দে ভাসিয়ে গেলেও দেখার কেউ ছিল না। কোন প্রকল্পের বরাদ্দ এবং তথ্য চাইলে ও মিলতো না কোন সাড়া।

সাংবাদিকরাও তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও মেলেনি কোন তথ্য। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি এবং উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রায় ৪ কোটি টাকার প্রকল্পের সিংহভাগ প্রকল্পে কাজ না করে ছবিসম্মলিত ভুয়া বিল ভাউচার করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। উপজেলার বিভিন্ন পিআইসি প্রকল্প গুলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব খ্যাত লোকদের দিয়ে কোথাও নামমাত্র আবার কোথাও কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভাগবাটোরা করে লুটপাট করেছে। ওই সময় উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ সাতক্ষীরায় বাড়ি এবং ছাত্রলীগ ক্যাডার পরিচয় দাপটের সাথে বিভিন্ন ঠিকাদারদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিলে মোটামুটি পার্সেন্টেজ না দিলে জুটতো না প্রকল্পের বিল। বিগত ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের ভিতরে অন্তত ১০ টি প্রকল্প হাতে নিলেও একটিরও দৃশ্যমান কাজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এডিপি এবং উন্নয়ন সহায়তার বিভিন্ন টেন্ডারের কাজগুলো উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ তার নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে কাজ করিয়ে নিজে পার্টনার থাকতো। আবার মোটা অংকের টেন্ডারের কাজগুলো বাগিয়ে নিতে ওই ঠিকাদারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সামান্য কিছু লাভ দিয়ে নিজের হাতের ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ কিনে নিয়ে নিজের ঠিকাদার দিয়ে নিজের অংশীদারিত্বে দায়সারা ভাবে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *