দহাকুলা যুব সংঘের পাকা ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে জবরদখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপো্টার: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলার শেখ পাড়ার মোড়ে অবস্থিত দহাকুলা যুব সংঘের পাকাঘরটি রাতের আধারে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ভুরি ভোজ শেষে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে আবার পাকা দেয়াল তৈরি করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দহাকুলার শেখ পাড়ার মোড়ে অবস্থিত দহাকুলা যুব সংঘের পাকা ঘরটি ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় মৃত শেখ আলাউদ্দিনের পুত্র শেখ শহিদুল ইসলাম @ জুলফিকার নেতৃত্বে গড়েরকান্দা,সুলতানপুর ও কুখরালীসহ বিভিন্ন জায়গার ১০০থেকে ১৫০ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে তার মিলের চাতালে ভুরি ভোজ করে গভীর রাতে মুহুর্তের মধ্যে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
এসময় ওই ক্লাবঘরটিতে সংরক্ষিত চেয়ার, টেবিল, হাঁড়িপাতিল সহ বিভিন্ন দামি আসবাবপত্র তিনি হেফাজতে নেন।এরপর তিনি আবারও ওই জায়গায় নতুন করে পাকা দেয়াল তৈরি করে দখল করার পায়তারা করছেন বলে সরেজমিনে দেখা গেছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ময়না সহ অসংখ্য ব্যাক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান- দহাকুলা যুব সংঘটি বিগত ২৫ থেকে ৩০ বছর পূর্বে স্থাপিত হয় এবং ওই জায়গায় আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম।ক্লাবের সদস্যরা গ্রামে কোন ব্যাক্তি মারা গেলে ক্লাবের চেয়ার-টেবিল, হাঁড়িপাতিল ও খাটিয়া নিয়ে দাফন কাফনসহ আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন নিয়ে শেখ শহিদুল ইসলাম তার মিলের চাতালে রাতে ভূরি ভোজ শেষে ক্লাব ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে ক্লাবে সংরক্ষিত যাবতীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়।এখন তিনি ওই জায়গায় পুনরায় নতুন করে পাকা দেয়াল তৈরি করে জবরদখল করার চেষ্টা করছেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা ফুসে উঠলেও প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীদের মধ্যে অনেকেই জানান-ইতোপূর্বে ওই ব্যক্তি আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ড তার প্রতিষ্ঠানের এখান থেকেই করা হতো। বিষয়টি জানতে এ প্রতিনিধিসহ আরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর পাশ্ববর্তী তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান-ওই জায়গা আমার, ওরা দীর্ঘদিন জোরপূর্বক জবরদখল করে রেখেছিল। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কে বা কারা ভেঙেছে তা জানি না। আমার জায়গা তাই আমি দখল করে নিচ্ছি। আমার জমির কাগজপত্র আছে। আপনারা দেখতে চাইলে সাংবাদিক ক্লাবে যোগাযোগ করেন। আমার এখানে অনেক সাংবাদিক এসেছে। তাদের কাছে সব কাগজপত্র আছে। আপনাদের দরকার হলে তাদের নিকট থেকে দেখে নেন।
এসময় ক্লাবের জিনিসপত্র কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান-সব জিনিসপত্র আমার হেফাজতে আছে। আমি কিছুই আত্মসাৎ করিনি।
এ ব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।