কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে রাস্তা নির্মানের ছয় মাসে নষ্ট, ছয়কোটি টাকার কাজ প্রশ্নবিদ্ধ

তাপস কুমার ঘোষ, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা হস্তান্তরের ৬ মাসেই ফেঁড়ে চৌচির। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান এখন প্রশ্নবিদ্ধ। রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে টপ সারফেইজ নষ্ট, রাস্তায় পাথর ঝরতে শুরু করেছে। উঁচুনীচু গর্ত তৈরী হয়েছে। দৃশ্যমান কাজের কোন নিয়ম মানা হয়নি।কালভার্ট নির্মান করেনি। রাস্তা কোথাও চওড়া কোথাও সরু। রাস্তার ভিতরে পল্লীবিদ্যুতের খুটি এবং গাছ। অভিযোগের শেষ নেই।কালিগঞ্জ সরকারী কলেজের সামনে থেকে পুলিন বাবুরহাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মানে ব্যাপক অনিয়মে মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই এমন দুরাবস্তা অভিযোগ স্থানীয়দের।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাস্তার এমন বেহালদশা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ।তিনি রাস্তায় ফাটল ও সারফেস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়েছেন।রাস্তা নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার আলী হায়দার ও সাহেদ এন্টারপ্রাইজ,কাটিয়া আমতলা মোড়, সাতক্ষীরা সদর বরাবর গত ২৬ জানুয়ারী একটি জরুরী চিঠি যার স্বারক নং ৪৬.০২.৮৭৪৭. ০০০.০১.০০১.২৫.১১৩ প্রদান করেছেন। জরুরী চিঠি অনুযায়ী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বাধ্যতামুলক রাস্তা মেরামত করতে হবে। অন্যথা ঠিকাদারী চুক্তির জিসিসি ক্লস নং ৫৭.১ ও ৫৭.২ অনুযায়ী রাস্তা নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা থেকে রাস্তা মেরামত করা হবে।

রাস্তা নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার আলী হায়দার ও সাহেদ এন্টারপ্রাইজে পাঠানো চিঠিতে থাকা মোবাইল নম্বর ও হটসএ্যাপে তাদের কাছে ফোন ও ম্যাসেজ করলেও কোন উত্তর দেননি।

রাস্তা নির্মানের সময় কাজের অনিয়ম নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও আমলে নেননি উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ। যিনি নিজে উপস্থিত থেকে রাস্তার কাজ দেখভাল করেছেন তারপরে কেন রাস্তার দুরাবস্থা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন ল্যাব টেস্ট সহ সকল প্রকার নিয়ম মানার পরেও কেন এমন হলো বুঝলামনা। কোথায় ভুল হলো তা বোঝার চেষ্টা করছি।

তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের মধ্যে মেরামত করে দেবে। আমি তাদের চিঠি দিয়েছি।একই রকম অবস্থার মধ্যে পুলিনবাবুর হাট থেকে মকুন্দমধূসুদন পুর পর্যন্ত রাস্তায় কার্পেটিং চলছে। বিষয়টি কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের সমন্বয়ক আমির হামজাকে অবহিত করলে তিনি বলেন যে, বিষয়টি আমি অবহিত হলাম। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।বিষয়টি কালিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডলকে অবহিত করলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি অবহিত হয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *